বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-আইওলা। পৃথক চিঠির মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন ও পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ায় আপনাকে (ড. ইউনূস) আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন এক ক্রান্তিকালে প্রবেশ করেছে। আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করা এবং শান্তি ও জাতীয় ঐক্য ফিরিয়ে আনা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বার্তা দিয়েছেন সেটিকে স্বাগত জানান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ড. ইউনূসকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার দেশ যে জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আপনি ফ্রান্সের পূর্ণ সমর্থন পাবেন। তাঁর দেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ড. ইউনূসের সফলতা কামনা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এদিকে ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা আগ্রহ প্রকাশ করেন ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক ওকোনজো-আইওলা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনি এমন এক সময়ে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন যখন বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্যও এটি একটি চ্যালেঞ্জের সময়। আমি নিশ্চিত যে আপনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।
চিঠিতে বলা হয়, বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্যের সুফল ভোগ করেছে এবং সবসময় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার দৃঢ় সমর্থক ছিল।
আইওলা বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করছি। বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা সচল রাখা এবং আরও শক্তিশালী করতে আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে ডব্লিউটিও মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, মো. ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের বোর্ডে একসঙ্গে কাজ করার স্মৃতি তাঁর সবসময় মনে থাকবে। তিনি ইতিহাসের এ নতুন অধ্যায়ের সূচনায় বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা এবং প্রার্থনা করেন।