সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন ড. ইউনূস

রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ হাতছাড়া হলে ভবিষ্যৎ থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ হাতছাড়া হলে ভবিষ্যৎ থাকবে না

শিক্ষার্থীদের সুপারিশ - ♦ শিক্ষাঙ্গন রাজনীতিমুক্ত ♦ মব জাস্টিস বন্ধ ♦ অর্থ পাচারের পাশাপাশি বিদেশে মেধা পাচার প্রতিরোধ ♦ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক ♦ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ♦ দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষার যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা এর থেকে বেরিয়ে যেও না। তিনি এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রদের সার্বক্ষণিক কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

গতকাল তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সভার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

এ সময় হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ড. ইউনূস। এক পর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। এ সময় পুরো হলরুমে এক দুঃখ-ভারাক্রান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ড. ইউনূসকে কাঁদতে দেখে শিক্ষার্থীদের অনেকের চোখে পানি চলে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়কালে ধর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে রাজনীতি বন্ধ করার সুপারিশ জানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সম্মুখ সারির শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা। একই সঙ্গে তারা শিক্ষাঙ্গন রাজনীতিমুক্ত করা, মব জাস্টিস বন্ধ করা, অর্থ পাচারের পাশাপাশি বিদেশে মেধা পাচার প্রতিরোধ করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ জানান। অধ্যাপক ইউনূস গত ১৫ বছরের অপশাসনের কথা স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের বলেন, এতদিন তারা চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে ছিল এবং আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। এরা কি এখন চুপচুপ বসে থাকবে। না, তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদের দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার। চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না। কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না।

দেশের সফল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এই সুযোগ আসেনি। তবে সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। রাষ্ট্র আর থাকবে না। কাজেই এটা শুধু রাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা করতে হবে।

তরুণরা কোন জাদুমন্ত্রে বাংলাদেশে বিপ্লব সংঘটিত করেছে, তা দেখতে সারা দুনিয়ার মানুষ এদেশে আসবে এমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুনিয়ার মানুষ দেখতে আসবে, তোমাদের কাছ থেকে শিখতে আসবে। তোমাদের কাছে জানতে চাইবে- কোন মন্ত্র দিয়ে এই বিপ্লব করেছ। এই মন্ত্র তারা শিখতে চাইবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের মন্ত্র কী, সেটা হয়তো তোমরা বুঝতে পারছ না। এটা একটা বড় মন্ত্র। এই মন্ত্র ধরে রাখ। মন্ত্র যদি শিথিল হয়ে যায়, আমাদের কপালে অশেষ দুঃখ আছে। সেই দুঃখ যেন আমাদের দেখতে না হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে যদি আমরা দূরে সরে যাই, দেশবাসী তাহলে আমাদের সতর্ক করে দেবে। আমাদের কারোর কোনো ইচ্ছা নেই এই স্বপ্নের বাইরে যাওয়ার। আমাদের সার্বক্ষণিক কাজ হলো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। একযোগে এই কাজ করতে হবে।

শহীদদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা শহীদ হয়েছে, তাদের স্মরণ করি। যারা শহীদ হয়েছে, তারা চলে গেছে। তোমাদের দিকে তাকাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম তোমরাও শহীদ হয়ে যেতে পারতে। শহীদরা আজ আমাদের সঙ্গে বসতে পারত, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। আহতদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ড. ইউনূস বলেন, যখন হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়। একটা ছেলে, একটা মেয়ে এরকমভাবে কীভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই দিকে পা চলে গেছে, ওই দিকে মাথা। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ড. ইউনূস বলেন, একজন তাজা তরুণ রংপুরে আমাকে বলল, ফুটফুটে একটা ছেলে, স্যার আমি সারা জীবন ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম। ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম। এখন দেখেন আমার পা কেটে ফেলেছে। সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছে স্যার ক্রিকেট খেলব কী করে? ক্রিকেট তার মাথা থেকে যাচ্ছে না। নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাওয়ার কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, গতকাল একটা হাসপাতালে গেলাম আবার সেই দৃশ্য কচি কচি প্রাণ, মাথার খুলি উড়ে গেছে। মাথার অর্ধেক নাই, গুলি মাথার ভিতর রয়ে গেছে। রংপুরের হাসপাতালের দৃশ্য, এক্স-রেতে দেখা যাচ্ছে ওখানে দাগ ছোট ছোট ফুটো করা, আমি বুঝতে পারলাম না আমাকে কী দেখাচ্ছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম। এগুলো কী? এতগুলো গুলি তার শরীরে রয়ে গেছে, সে বেঁচে আছে রাবার বুলেট, যতবার দেখি যতবার শুনি আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয় যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তিনি বলেন, আমাদের যোগ্যতা না থাকতে পারে, ক্ষমতা না থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের প্রতিজ্ঞা রইল, আমরা স্বপ্নপূরণ করব। হাসপাতালের দৃশ্য এবং আন্দোলনের প্রতিদিনের ঘটনা মানুষকে জানাতে হবে বোঝাতে হবে এর পেছনে কী ছিল।

প্রধান উপদেষ্টার সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন,  হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এটা দেখি না যে, প্রতিবছর মেধাবীরা দেশ থেকে বিদেশে পারি জমাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা থেকে মেধা পাচার আরও বেশি ভয়ংকর বলে শিক্ষার্থীরা বক্তব্যে উল্লেখ করেন। একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা গত ২০ বছর ধরে রোল মডেল হিসেবে একজন ড. ইউনূসকে পেয়েছি। মেধা পাচার না হলে প্রতি বছরই এক-দুজন করে ড. ইউনূস বের হতো। প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিআকর্ষণ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন এবং পিএইচডি করতে যারা বিদেশে যায়, তারা যেন দেশে ফিরে আসে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েটেড শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরাতে পারছি না বলে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ছে বলেও শিক্ষার্থীরা বক্তব্যে তুলে ধরেন।

মব জাস্টিসকে নিয়ন্ত্রণ করা এই মুহূর্তে সরকারের প্রধান কাজের একটি বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এটা সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। কুচক্রী মহল এই দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে দেশে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে- তা নষ্ট করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যে আন্দোলন করেছি, এই আন্দোলন একটা রাজনীতির অংশ। এই রাজনীতি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থী-যেই হোক, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু যখন একজন শিক্ষক ক্লাসে পাঠদান করতে আসবে তিনি শুধুই একজন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা শুধুই শিক্ষার্থী। কোনো রাজনৈতিক ট্যাগধারী ছাত্র ও শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মাছের বাজার  কোথাও ঢোকা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা পণ্যের দাম কমাতে উৎপাদন বাড়ানো ও বিপণন ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়ার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। তারা কৃষকদের ভর্তুকিমূল্যে কীটনাশক, সারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহের সুপারিশ জানান।

শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের যে দায়িত্ব এই সরকার নিয়েছে- সেই সংস্কারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এজন্য তারা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সুপারিশ জানান।

শিক্ষার্থীরা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ধর্মকে রাজনীতির একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এই জায়গাটাতে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে যে রাজনীতি সেটিকে বন্ধ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার সুপারিশ জানিয়ে বলেন, ল অ্যান্ড অর্ডার এখনো পুরোপুরি সচল হয়নি। এটা দ্রুত সচল করার উদ্যোগ নিতে হবে। বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ভিত্তিতে বরাদ্দ বাড়ানোরও প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, যে রক্ত ঝরেছে, তার ঋণ শোধ করতে হবে। আমরা একটি মহান ঐতিহাসিক দায়িত্ব পেয়েছি। এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া প্রমুখ। মতবিনিময় শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার, উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ড. ইউনূসকে যে শিক্ষার্থীরা ক্ষমতায় বসিয়েছেন, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ মতবিনিময় হয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া সারা দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কীভাবে মতবিনিময় করা যায় সে প্রসঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টা মতামত নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিচার ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসে রাজনীতি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও অন্য উপদেষ্টারা এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে। প্রতিবেশীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমমর্যাদার সম্মান আশা করে বলেও প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ক সচল করার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনে ফাউন্ডেশন গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি বন্ধ করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান কী প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, শিক্ষার্থীরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের কথা বলেননি। তারা ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতি না করার কথা বলেছেন। বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়টি যেহেতু বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে জড়িত, সে কারণে ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতি বন্ধ করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

শিক্ষাঙ্গনে প্রচলিত ধারার রাজনীতি বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিশেষ সহকারী।

মব জাস্টিসের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, মব জাস্টিসের বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম সমর্থন করে না সরকার। কেউ যদি স্বৈরাচার বা স্বৈরাচারের সহযোগীও হন, তবুও আদালতের মাধ্যমেই তার বিচার হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না।

সর্বশেষ খবর