বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি), যেখানে স্বপ্নগুলো শুধু আকাশে উড়ে না, বাস্তবে রূপ নেয়। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলে। এখানে ১৩টিরও বেশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম রয়েছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ফ্যাশন ডিজাইন, নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং। রয়েছে পরিবেশ বিজ্ঞান এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে যারা পড়েন তারা তাত্ত্বিক জ্ঞানের সঙ্গে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগও পান। উন্নত ল্যাবে কাপড়ের টেক্সচার নিয়ে পরীক্ষা, ক্যাড স্টুডিওতে ডিজাইন তৈরি-এসবই শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তোলে। আছে স্বল্পমেয়াদি কোর্স। দ্রুত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের দরজা খুলে দেয় এই প্রোগ্রামগুলো। ক্যাম্পাসে ২২টি স্টুডেন্ট ক্লাব রয়েছে। আছে ডিবেট ক্লাব, যেখানে তর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা হয়। ফ্যাশন শো ক্লাবে শিক্ষার্থীদের ডিজাইনগুলো রানওয়েতে তোলা হয়। উদ্যোক্তা ক্লাবের মেলায় ব্র্যান্ডের আইডিয়া উপস্থাপনের সুযোগ রয়েছে। সাংস্কৃতিক ক্লাব, প্রযুক্তি ক্লাব, ভাষা ক্লাব বা সামাজিক সেবা ক্লাব- এগুলো শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের নানান দিক বিকাশে সহায়তা করে। টিমওয়ার্কের মাধ্যমে গড়ে তোলা বন্ধুত্ব, পেশাগত জীবনেও সহায়ক হয়। দেশি কারখানা থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড পর্যন্ত দৃঢ় নেটওয়ার্ক বিইউএফটির। শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ করে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে, যেখানে প্রোডাকশন লাইন দেখে, কোয়ালিটি কন্ট্রোল শিখে। শিল্প পরিদর্শন, সেমিনার এবং প্রকল্পগুলো বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। আন্তর্জাতিক এমওইউ-এর ফলে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ মেলে, যেমন টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট (যুক্তরাজ্য) বা আইএফএইচটিটিআই-এর সঙ্গে। ‘স্মার্ট ২০২০’ বা ‘নুফিক’ প্রকল্পে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী চিন্তা বিকশিত করে। এই সংযোগগুলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ পেশাজীবীতে পরিণত করে। বিইউএফটির স্নাতকরা রয়েছে বিভিন্ন পেশার শীর্ষ পর্যায়ে। তৌহিদ বিন আবদুস সালাম, যিনি ক্লাসিক হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বিডির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়ে দেশীয় হস্তশিল্পকে বিশ্বমানে তুলেছেন। তার গল্প শুরু হয়েছিল বিইউএফটির ল্যাবে। স্বপ্না ভৌমিক, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের রিজিওনাল হেড (বাংলাদেশ ও ভারত), যিনি ফ্যাশনের সীমানা ছাড়িয়ে আঞ্চলিক নেতৃত্ব দেন, তার সৃজনশীলতা এখানকার ফ্যাশন শো থেকে উঠে এসেছে। এমন অসংখ্য সফল গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে বিইউএফটি।