পাকিস্তানে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন দেশটির একজন নারী সাংসদ। এক মন্ত্রী তাকে নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে যৌন হয়রানিমূলক কথা বলেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত মন্ত্রী উপযুক্ত শাস্তি না পেলে তিনি গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছেন। পাকিস্তানি এই নারী সাংসদের নাম নুসরাত সাহার আব্বাসি।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মুসলিম লিগের সাংসদ হলেন এই নুসরাত সাহার আব্বাসি। তিনি অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার পাকিস্তান পিপিলস পার্টির সদস্য মন্ত্রী ইমদাদ পিতাফি তার ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকেছিলেন তাকে। সেই সময়েই তিনি সাংসদ নুসরাতের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক ব্যবহার করেন।
জানা গেছে, আইনসভায় নুসরাত বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরেই পেট্রলের বোতল হাতে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন নুসরাত সাহার আব্বাসি। সে সময় তিনি এক প্রকার হুমকি দিয়েই বলেন, “সকলের সামনে ক্ষমা চেয়ে নিলেই সব মিটে যায় না। অভিযুক্ত মন্ত্রী পিতাফি উপযুক্ত শাস্তি না পেলে আমি এই পেট্রোল নিজের গায়ে ঢেলে আত্মহত্যা করব।”
পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে নারীদের ওপর অ্যাসিড হামলা ও পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। নারীবাদীরা কয়েক দশক ধরে তাদের অধিকার আদায়ে লড়াই করছেন। এই নুসরাত সাহার ঘটনা সেই বিষয়টিকেই আরও একবার সামনে নিয়ে আসল। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সাংসদেরাও যে সুরক্ষিত নয় সেটিও জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল।
জানা গেছে, পিতাফির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝর উঠলে তিনি সংসদ ভবনে নুসরাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে চাদর পরিয়ে দেন। কিন্তু ক্ষমা চেয়ে নিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না বলে জানিয়েছেন নুসরাত। পাকিস্তানের সংবিধানে নারী সুরক্ষার অনেক গলদ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৭