ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে ব্যবহৃত ফ্লাডলাইট নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক রিপোর্টে ভুল ছবি প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান সীমান্তেই ফ্লাডলাইট বসিয়েছিল মোদির সরকার। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৬-১৭ সালের বার্ষিক রিপোর্টেও ফ্লাডলাইটের ছবি দিয়েই সেই কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি কৃতিত্বও অর্জনের দিকটিও তুলে ধরা হয়।
কিন্তু পরে দেখা গেছে রিপোর্টে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশ-পাক সীমান্ত নয়, স্পেন-মরক্কোর সীমান্তের ছবি। সেই ছবিটিও ২০০৬ সালের তোলা!
৩২৪ পাতার ওই বার্ষিক রিপোর্টে ‘ফ্লাডলাইটিং অ্যালং দ্য বর্ডার’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি তথ্যে দেখা গেছে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের জম্মু, রাজস্থান, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের সীমান্ত রয়েছে ২৩০৮ কিলোমিটার। এরমধ্যে ২০৪৩.৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর ফ্লাডলাইট বসানোর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং ১৯৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে ফ্লাডলাইট বসানোর কাজ শেষ। ফ্লাডলাইট বসানোর ফলে রাতে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফ’এর সুবিধা হবে বলেও জানানো হয় সেখানে।
তিন মাস আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ের এই রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু সেখানে এই ধরনের একটি মারাত্মক ভুল ধরা পড়ায় তা সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ের তরফে নতুন করে রিপোর্ট প্রকাশ করাটা বেশ কিছুটা কঠিন বলে স্বীকার করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহর্ষি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোন ভুল থাকে তবে ক্ষমা চাওয়া হবে।
বিষয়টি যথেষ্ট বিব্রতকর তা স্বীকার করে নিয়েছেন কর্মকর্তারা। এই কাজে বিএসএফ কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের কোন জুনিয়র কর্মকর্তারা যুক্ত আছেন কি না তাও পরিস্কার নয়।
বিডি প্রতিদিন/১৫ জুন, ২০১৭/ফারজানা