জেরুজালেমের উপকণ্ঠে ইসরাইলি পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। আর এটি হবে ইসরাইলে জিহাদিদের প্রথম হত্যার ঘটনা। খবর এএফপি’র।
শুক্রবার ইসরাইলি পুলিশ জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনের তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
অনলাইনে দেয়া এক বিবৃতিতে আইএস জানায়, জিহাদি যোদ্ধাদের লক্ষ্য ছিল ‘ইহুদিদের সমাবেশ।’ তবে তারা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, ‘এটিই সর্বশেষ হামলা নয়।’
এদিকে গাজা উপত্যাকা শাসন করা জঙ্গি ইসলামি গ্রুপ হামাস আইএসের এ দাবি প্রত্যাখান করে বলেছে, হামলাকারীরা বামপন্থী মুক্তি আন্দোলনের সদস্য ছিল।
রমজান মাসের তৃতীয় শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, দুই সন্ত্রাসী পুলিশ সদস্যদের একটি দল লক্ষ্য করে বেপরোয়া গুলি চালাতে থাকলে তারাও পাল্টা গুলি করে। এদিকে তৃতীয় সন্ত্রাসী সামান্য দূরে এক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। পরে হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, সেখানে তিন হামলাকারী নিহত হয়।
সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত নারী পুলিশ সদস্য হাদাস মালকাকে (২৩) হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়।
জেরুজালেম পুলিশ প্রধান ইয়োরাম হালেভি জানান, হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা পশ্চিম তীর থেকে এসেছিল।
আইএসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আল্লাহ’র ধর্ম এবং মুসলমানদের পবিত্রতা নষ্ট করার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম