যুক্তরাজ্যের পশ্চিম লন্ডনে লাটিমার রোডের 'গ্রেনফেল টাওয়ার' অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যেতে দেরি করে জনগণের ক্ষোভর পাশাপাশি নিজ দলের ভেতরেও চাপে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। জানা যায়, যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচন ডেকে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর থেকে দলের একাংশ তাকে পদত্যাগের চাপ দিয়ে আসছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
'গ্রেনফেল টাওয়ার'র অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পর ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে গেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে-কে। বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধানমন্ত্রীকে ‘খুনি’, ‘কাপুরুষ’ আখ্যায়িত করে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘তেরেসা এবার বিদায় নাও’। এ সময় দেশটির পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার রোষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বের করতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
চার্চের ভেতরের সদর দরজার পাশাপাশি বাইরে থাকা গাড়িটিও চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে পুলিশ। এসময় বিক্ষোভকারীদের একজন মে’কে চলে যেতে বলেন। এর আগে শুক্রবার সকালে চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার হাসপাতালে গিয়ে মে আহতদের পাশাপাশি সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ঘণ্টাখানেক সময় কাটান। তিনি এদিন হোয়াইট হলে সরকারি সিভিল কন্টিনজেন্সি কমিটির বৈঠকেও সভাপতিত্ব করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার