শত শত রোহিঙ্গাকে গুলি করে, বোমা মেরে মারছে মিয়ারমারের সেনাবাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েও নানা জটিলতায় পড়ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এসব মুসলিম। কারণ সংখ্যায় বেশি হওয়ায় তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরেও মিয়ারমারের সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চলমান সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। জানা গেছে, মুসলিম এ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি মঙ্গলবার ১ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তিনি মিয়ানমারের সরকারের উচ্চপর্যায়ে এবং সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকায় পৌঁছবেন।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মিয়ানমারের সঙ্গে সব প্রকার বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মালদ্বীপ। দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
রোহিঙ্গা সংকট জটিল আকার ধারণ করায় তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ারও অঙ্গীকার করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ফারজানা