সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সৌদি আরবের কাছে উপযুক্ত জবাব চেয়েছেন এরদোগান।
রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, ‘এমন ভয়ঙ্কর আক্রমণ সংঘটিত হওয়ার পরে আমেরিকা’র নীরব থাকার অর্থ বুঝি না। এমনকি কয়েকজন সিআইএ সদস্য আমাদের দেয়া রেকর্ডিং শোনার পরেও তারা চুপ রয়েছেন। আমি সবকিছু পরিষ্কার করতে চাই। কেননা, সেখানে নৃশংসতা হয়েছে, হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আর এটা কোনো সাধারণ ঘটনা না।’
তিনি বলেন, ২২ ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন দুইটি বিমানে করে হত্যাকাণ্ডের দিন তুরস্কে এসেছেন। তারা সৌদি কনস্যুলেটেও গিয়েছেন। এখন সৌদি আরব বলছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, তারা এদের কয়েকজনকে ছেড়ে দিতে পারে। পরে তাদেরকে সড়ক দুর্ঘটনায় মেরে ফেলা হতে পারে। কেননা, সেখানে রহস্যজনক সব কর্মকাণ্ড চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন