ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি পাকিস্তান, জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তবে আলোচনার জন্য ভারতকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার বিবিসি উর্দুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান কখনও আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেনি। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনার সব পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এজন্য তৃতীয়পক্ষের কোনো উদ্যোগ বা সহায়তাকেও আমরা স্বাগত জানাব।
কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে মাহমুদ কুরেশি বলেন, কাশ্মীরে দীর্ঘ সময় ধরে কারফিউ চলছে, সেখানকার মানুষ এক ধরনের বন্দি জীবনযাপন করছে। এই অবস্থায় আলোচনার কোনো পরিবেশ দেখছি না। জম্মু-কাশ্মীরে বন্দি নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে যেন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়, আর্জি জানিয়েছেন কুরেশি।
ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য শর্তারোপ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যদি আলোচনায় আগ্রহী হয়, তাহলে কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নিয়ে সেখানকার নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার দিতে হবে। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতাদের মুক্তি দিলে আমি তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা ভারতের সঙ্গে বসতে পারি।
তিনি বলেন, চলমান সংকটে তিনটি প্রতিপক্ষ রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান এবং কাশ্মীর। ভারত যদি আলোচনায় আগ্রহী হয়, তাহলে আগে কাশ্মীরী নেতাদের মুক্তি দিয়ে তাদের সঙ্গে আমাকে আলোচনায় বসার অনুমতি দিতে হবে। কারণ ভারতের সঙ্গে আলোচনার আগে কাশ্মীরিদের মনোভাব আমাদের জানতে হবে।
পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী বলেন, নিপীড়িত কাশ্মীরিদের আবেগ অনুভূতিকে সম্মান না জানিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে পারি না।
বিডি প্রতিদিন/০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯/আরাফাত