ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা লাঘবে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ শক্তিধর কিছু দেশ। ভারত ও পাকিস্তান মারাত্মক এক যুদ্ধের পথে চলে যেতে পারে এমন এক ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রভাবশালী দেশগুলো জোরালো ওই উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রভাবশালী দেশগুলোর পর্দার আড়ালে ওই প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানেন এমন কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, উত্তেজনা প্রশমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য শক্তিধর দেশগুলো যোগাযোগ রক্ষা করছে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে। এক্ষেত্রে আগের মতো অবস্থানে নেই পাকিস্তান। তারা ভারতের সঙ্গে এমন আলোচনায় পূর্বশর্ত দিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে দখলীকৃত কাশ্মীর থেকে অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে এবং সেখানকার রাজনৈতিক সব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে।
কাশ্মীরে মানবিক সংকটের রিপোর্টে ভারতের ওপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি করছে বিশ্ব। পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তারা জানান, ভারত সরকার দাবি করছে কাশ্মীরের সার্বিক অবস্থা ভালো। কিন্তু পক্ষান্তরে সেখানে ক্রমবর্ধমান হারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ এমন উত্তাপ ছড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান ডেমোক্রেট নেতা বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার দল থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন। তিনি কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্বকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। উপরন্তু কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ জাতিসংঘের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন