কাতারের ওপর থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল। তারা এই নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দাও জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
আঞ্চলিক ঝামেলার কারণে কয়েক বছর ধরেই সৌদি নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন এবং মিসর এই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে এই নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ অ্যালেনা ডুহান কাতারের ওপর থেকে সকল প্রকার অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা, ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধাসহ সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।
অ্যালেনা ডুহান বলেছেন, এভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। নিষেধাজ্ঞার ফলে কাতারের মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির পরই ওই চারটি দেশ কাতারের সব নাগরিককে নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করে। ফলে বহিষ্কার হওয়া মানুষেরা শুধু কাজ হারিয়েছেন তাই নয়; বরং তাদের পারিবারিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়েছে। এটি সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।
কাতার শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন ও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো সন্ত্রাসবাদে সমর্থন এবং অর্থায়নের অভিযোগ এনে কাতারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় ওই চার দেশ জানিয়েছিল, কাতার ১০ দফা শর্ত মানলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু কাতার তা মানতে চায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই