রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের অন্তত সাতটি বড় শহরে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের বহু দেশ ইউক্রেনীয়দের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছে। কঠিন এই মুহূর্তে হাল ছাড়তে নারাজ দেশটির বহু মানুষ। এর মধ্যে ক্রীড়াবিদরাও আছেন।
রাশিয়ার অভিযান নিয়ে মুখ খুলেছেন ইউক্রেনের এই কিংবদন্তি বক্সার ভ্লাদিমির ক্লিটসকো। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আমার দেশকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’ চলতি মাসেই নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া দুইবারের এই হ্যাভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন টুইটারে লিখেছেন, 'জেনে রাখুন, ইউক্রেন শক্তিশালী। আমাদের শক্তিশালী রাজধানী কিয়েভ রয়েছে, শক্তিশালী শহর, গ্রাম এবং শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি রয়েছে; যাদের কাছে ইউরোপের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও শান্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অস্তিত্ব অসীম। ইউক্রেনের জয় হোক!'
তিনি আরও লিখেছেন, 'গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অমূল্য... ইউক্রেন শান্তি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব চায়। আমি কিয়েভকে রক্ষা করতে আঞ্চলিক বাহিনীর রিজার্ভ হিসেবে যোগ দিয়েছি; ইউক্রেনে এখন যা হচ্ছে এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে যে আগ্রাসন দেখানো হচ্ছে তার মোকাবিলা করতে। '
ক্লিটসকোর ছোট ভাই ও আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভিতালি ক্লিটসকো আবার কিয়েভের বর্তমান মেয়র। এদিকে, ইউক্রেনের কিংবদন্তি ফুটবলার এবং ব্যালন ডি'অরজয়ী আন্দ্রে শেভচেঙ্কো টুইটারে লিখেছেন, 'ইউক্রেন আমার মাতৃভূমি! এই দেশ এবং দেশের জনগণ নিয়ে আমি গর্বিত। আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি এবং গত ৩০ বছরে আমরা একটা জাতি হয়ে উঠেছি। আমরা আন্তরিক, পরিশ্রমী এবং স্বাধীনতাপ্রেমী জাতি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।’
এদিকে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালেও রাশিয়া সবসময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাবরভ। তিনি বলেন, “দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের পশ্চিমা বন্ধুরা আন্তর্জাতিক আইনকে মর্যাদা দেন না। বরঞ্চ তারা তাকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করছেন এবং তাদের গড়া ‘আইন-ভিত্তিক বিশ্ব ব্যবস্থা’ বাস্তবায়নে চেষ্টা করে চলেছেন।”
রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থাই আইআরএকে লাবরভ এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান সহকর্মীদের সাথে আমাদের বিস্তারিত কথা হয়েছে। নেটো সদস্যদের সাথেও কথা বলেছি। আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক দায়-দায়িত্ব অনুসরণের পথ এখনো খোলা রয়েছে।’ লাবরভ বলেন, ‘ন্যায়বিচার এবং জাতিসংঘ চার্টারের মূল নীতিতে ফেরার জন্য যে কোনো আলোচনায় বসার জন্য রাশিয়া সবসময় প্রস্তুত থাকবে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক