ক্রিমিয়া সেতুতে সোমবার ইউক্রেনের হামলায় দুই রুশ নাগরিক নিহত হয়েছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরেও এই সেতুতে হামলা হয়েছিল।
বারবার হামলার পর কিভাবে বিষয়টি সামাল দিবে তা নিয়ে কাজ করছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, আমরা বিষয়টি কিভাবে সামাল দিব তা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন এ ব্যাপারে একাধিক প্রস্তাব পেয়েছেন।
ক্রিমিয়া একসময় ইউক্রেনের অংশ ছিল। ২০১৪ সালে ভূখণ্ডটি দখল করে নেয় রাশিয়া। এর পরপরই ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মস্কো। চার বছরের মাথায় চালু করা হয় কার্চ সেতু। ক্রিমিয়া সেতু নামেও এই স্থাপনা পরিচিত। ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে কার্চ সেতুর কৌশলগত গুরুত্ব বহুলাংশে বেড়ে যায়। ইউক্রেনে নিয়োজিত রুশ সেনাদের অস্ত্র ও রসদ সরবরাহে ব্যবহার করা হয় সেতুটি। সূত্র: সিএনএন
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল