সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে ৬০ বেসামরিক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালত। তাদেরকে দুই থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এক আত্মীয় এবং দুই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন। একদিন আগে একই অভিযোগে আরও ২৫ জনকে সাজা দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানের গ্রেফতার দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্ম দেয়। ওই সময় তার সমর্থকরা পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক স্থাপনায় হামলা ও লুটপাট চালায়।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং বলেছে, “জাতি, সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনী ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে এবং রাষ্ট্রের অলঙ্ঘনীয় রিট বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য তাদের অঙ্গীকারে অবিচল রয়েছে।”
এই সাজা ইমরান খানের সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ সামরিক আদালত ইমরান খানের সাথে সম্পর্কিত মামলাগুলোয় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর হামলার উস্কানিসহ একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই সাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সাজা নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, সামরিক আদালতে বেসামরিকদের বিচার করা ‘স্বচ্ছতা, স্বাধীন যাচাইয়ের অভাব এবং ন্যায় বিচারের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, “পাকিস্তান নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে যে বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করেছিল এই রায় তার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।” সূত্র: ডন নিউজ, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ