এবার মার্কিন ভিসাধারীদের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি। নিয়মের ব্যত্যয় হলেই মুহূর্তেই হয়ে যেতে পারে ভিসা বাতিল। এমনকি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ভিসা কোনো অধিকার নয়, এটা কেবল একটা সুযোগ। আর এই সুযোগের অপব্যবহার যারা করবে, তাদের ক্ষেত্রে নামবে শাস্তির খড়গ; কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বিদেশি নাগরিকদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বা বিদেশে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ভিসা বাতিল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ 'এক্স' (পূর্বতন টুইটার)-এ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, ভিসা হলো একটি সুযোগ, অধিকার নয়। যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে হামলা, পারিবারিক সহিংসতা বা অন্য কোনো অপরাধে গ্রেফতার হন, তাহলে আপনার ভিসা বাতিল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আর কোনো মার্কিন ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা নাও থাকতে পারে।
এই ঘোষণার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থানে ফিরে গেছেন এবং বিদেশি নাগরিকদের অপরাধে জড়িয়ে পড়লে কঠোর শাস্তি ও বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দোকানে জিনিসপত্র চুরি (শপলিফটিং) ইত্যাদি অপরাধকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এমনকি তথাকথিত সামান্য অপরাধও বিদেশি নাগরিকদের জন্য স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে—যেমন ভিসা বাতিল, বহিষ্কার আদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে পুনঃপ্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে দোকানদাররা সন্দেহভাজনদের আটক করার অধিকার রাখেন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়েরও করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ স্পষ্ট করেছে—আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি নিশ্চিত, বিশেষ করে বিদেশিদের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে ভিসাধারীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল