বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মার্কিন নির্বাচনী প্রচারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিন

মার্কিন নির্বাচনী প্রচারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিন

আমেরিকার নির্বাচনের আর দুই মাসও বাকি নেই। এই সময়ের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রামকার্ড হিসেবে কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনকে কাজে লাগাতে চান। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে করেই হোক নির্বাচনের আগে মার্কিন বাজারে তিনি করোনার টিকা নিয়ে আসবেন। এ জন্য তিনি ইতিমধ্যেই কয়েক বিলিয়ন ডলারও খরচ করেছেন। 

কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার রানিং মেড কমলা হ্যারিস বলেছেন, ট্রাম্প করোনা টিকা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছেন। কারণ এই টিকা নিরাপদ বলে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তা মাঠে নিয়ে আসতে চাপ দিচ্ছেন। হ্যারিস বলেছেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প টিকা নিয়ে হাজির হলে ওই টিকায় আস্থা থাকবে না তার। করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা বাইডেন মার্কিন নাগরিকদের বিজ্ঞানীদের বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আর এসব বক্তব্যে দারুণ চটেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মন্তব্যের জন্য তিনি বাইডেনকে ‘বেকুব’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ফলে অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকাকে কেন্দ্র করে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্বও তত বাড়ছে। 

ট্রাম্প ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ নামের এক কর্মসূচির আওতায় তিনি আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৩০ কোটি করোনাভাইরাস টিকা মজুদ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস সোমবার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এমন টিকা বিতরণের পরিকল্পনা সম্পর্কে গভীর সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তিনি ট্রাম্পের বক্তব্যের ওপর ভরসা করেন না। একমাত্র গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা এমন আশ্বাস দিলেই তিনি সেই সম্ভাবনার কথা বিশ্বাস করবেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনও টিকার প্রশ্নে বিজ্ঞানীদের রায়ের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। সত্যি টিকা আবিষ্কার হলে তিনিও যত দ্রুত সম্ভব সেই টিকা আমেরিকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। এমনকি এর ফলে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতেও তিনি প্রস্তুত। ট্রাম্প অবশ্য এমন অভিযোগ না মেনে উল্টো বিরোধীদের বিরুদ্ধে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, বিরোধীদের সংশয়কে তিনি বিপজ্জনক। বিশেষ করে কমলা হ্যারিসের মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া ও টিকা-বিরোধী বুলি’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, মানুষ যাতে সেই সাফল্যকে বড় করে না দেখতে পারে, সে কারণে হ্যারিস টিকার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছেন। জো বাইডেন-কে ‘স্টুপিড’ (বেকুব) হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইরাসের কাছে দেশকে   আত্মসমর্পণ করাতে চাইছেন।  দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান স্টিফেন হান একই আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, টিকার মূল্যায়নে কোনো ত্রুটি রাখা হবে না। তবে গোটা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ফলে নির্বাচনের আগে এই টিকা নিয়ে দুই শিবিরে উত্তেজনা থাকছে তা নিশ্চিত।

 

সর্বশেষ খবর