শিরোনাম
রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড় কেন এত ধ্বংসাত্মক?

ঘূর্ণিঝড় কেন এত ধ্বংসাত্মক?

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা। আশঙ্কা করা হচ্ছে- মোখার প্রভাবে উপকূলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সমুদ্রে সৃষ্ট হওয়া এসব ঘূর্ণিঝড় কেন এত ধ্বংসাত্মক ও ভয়ানক হয়?

ঘূর্ণিঝড় কী? : ঘূর্ণিঝড় মূলত গ্রীষ্মকালে হয়। ঘূর্ণিঝড় হলো একটি নিম্নচাপ। এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জল এবং প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস নিয়ে সৃষ্টি হয়। এ ঝড়ো বাতাসের পরিধি ঘূর্ণিঝড়ের মূলকেন্দ্র থেকে কয়েক শ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অনেক জায়গায় ঘূর্ণিঝড়কে (সাইক্লোন) হ্যারিকেন এবং টাইফুন হিসেবেও ডাকা হয়। তবে এ জন্য ঝড়টির গতিবেগ কমপক্ষে ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার হতে হবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে জলবায়ু-সংক্রান্ত সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বিষয় হলো ঘূর্ণিঝড়।

কেন এতটা ধ্বংসাত্মক হয়? : ঘূর্ণিঝড় যখন উপকূলে আঘাত হানে তখন এর প্রভাবে সৃষ্টি হতে পারে বিশাল ঢেউ, জলোচ্ছ্বাস-সুনামি। একটি ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে ভয়াবহ অংশ হয় এ জলোচ্ছ্বাসই। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বিশাল ঢেউ ঘূর্ণিঝড়ের আগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। এমনকি বড় ঝড় আঘাত হানার ১ হাজার কিলোমিটার আগে এ ঢেউয়ের দেখা মিলতে পারে। এ বড় ঢেউ ভূমির কয়েক কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়তে পারে। এতে ঘরবাড়ি ও পথঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বড় ঢেউ বা জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা কেমন হবে এটি ঝড়ের তীব্রতা, এগিয়ে আসার গতি, ঝড়ের আকার এবং উপকূলের কোনো দিক দিয়ে এগিয়ে আসে সেটির ওপর নির্ভর করে। ঢেউয়ের মাত্রা কেমন হবে সেটি উপলব্ধি করতে না পারার কারণে অনেক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে মানুষ সরে যেতে পারেনি। ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানের সময় ফিলিপাইনে শুধু জলোচ্ছ্বাসে ৭ হাজার ৩৫০ জন মানুষ নিখোঁজ বা নিহত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে? : বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের অবস্থান ত্রিকোণাবিশিষ্ট বঙ্গোপসাগরের কাছে হওয়ায় দেশটি সবসময় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ হওয়ায় এখানে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়। এএফপি

সর্বশেষ খবর