টানা তিন রাত কিয়েভে মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পাল্টায় রাশিয়ার রাজধানী লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হলো। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করার পর এই প্রথম মস্কোতে একাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হলো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, অন্তত আটটি ড্রোন দিয়ে কিয়েভ একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। এতে কিছু ভবনের ক্ষতি হয়েছে। তবে সামান্য। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, হামলায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন কর্মকর্তা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, এ হামলায় কিয়েভ সরাসরি জড়িত ছিল না। তবে এরকম ঘটনা যে ঘটেছে তাতে ইউক্রেন খুশি এবং এমন হামলা আরও বাড়বে বলে তারা ধারণা করছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আটটি ড্রোনকেই মাঝপথে থামাতে পাল্টা হামলা চালানো হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ‘এর মধ্যে তিনটি ড্রোনকে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাঝপথে আটকানো হয়। অন্য পাঁচটি ড্রোন পান্টসির-এস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।’ এর আগে রুশ গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, হামলায় ৩০টির মতো ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ বলছে, গুলি করে ধ্বংস করার পর এগুলো বিভিন্ন ভবনের ওপর গিয়ে পড়েছিল।
মস্কো থেকে বিবিসির রাশিয়া সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ জানান, তিনি গতকাল ভোরে একটি বিস্ফোরণ শুনতে পান। বিস্ফোরণের শব্দে তার জানালার কাঁচ কাঁপছিল। এরপর ৬টা ৫৮ মিনিটে আরেকটি বিস্ফোরণ শোনা যায়। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের ড. জ্যাক ওয়াল্টিং বিবিসিকে বলেন, ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভিতরে এয়ারফিল্ডে হামলা করেছে। তবে রাজধানীতে এমন হামলা এই প্রথম।
বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলেন, ইউক্রেন কী অবস্থায় আছে সেই স্বাদ পেল মস্কো। তিনি এও বলেন, এই ড্রোন হামলার পর ন্যাটো জোট কিছুটা স্নায়ু-চাপে ভুগবে। ন্যাটো জোট ইউক্রেনকে যেসব দূরপাল্লার অস্ত্র দিচ্ছে, তাতে এরকম শর্ত দেওয়া আছে এগুলো দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানো যাবে না। কিন্তু মস্কোর ওপর হামলায় যদি গুরুতর ক্ষতি হয়, সেটি ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও বিপজ্জনক সীমানায় নিয়ে যেতে পারে।