শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘রুশ-ইউক্রেন আলোচনার দরজা বন্ধ করেনি কেউ’

‘রুশ-ইউক্রেন আলোচনার দরজা বন্ধ করেনি কেউ’

চীনের ইউরেশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত লি হুই

গত মার্চ মাসে রাশিয়া সফরে যান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সেই সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এরপর তা অনেকটাই থেমে গেছে। এর মধ্যে দুই দিন ধরে সেই আলোচনার বিষয়ে ফের কথা শুরু হয়েছে। চীনের ইউরেশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত লি হুই বলেছেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়া কেউই আলোচনার দ্বার চূড়ান্তভাবে বন্ধ করে দেয়নি। যদিও এই মুহূর্তে আলোচনার টেবিলে আসতে তাদের মধ্যে সমস্যা বিরাজ করছে।

দুই দিন আগে ইউরোপীয় সফর নিয়ে গণমাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে লি বলেন, রুশপক্ষ ইউক্রেন সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চীনের আকাক্সক্ষা এবং চেষ্টার প্রশংসা করেছে। মে মাসে লি ইউক্রেন যুদ্ধের চূড়ান্ত রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কিয়েভ, ওয়ারশ, প্যারিস, বার্লিন, ব্রাসেলস এবং মস্কোয় ১২ দিনের সফর করেন। লি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এখনো অনেক বেশি। পরিস্থিতি শান্ত করতে সব পক্ষকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবেশ যতদিন উপযোগী থাকবে, চীন ততদিন যে কোনো কিছু করতে রাজি থাকবে। লি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর কিইভ সফর করা প্রথম সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তা তিনি। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিয়েভের পরিকল্পিত পাল্টা হামলার আগে দিয়ে কিইভ সফর করেছেন এ চীনা দূত। যদিও তার এ সফর দৃশ্যত কোনো কূটনৈতিক অগ্রগতি বয়ে আনেনি। রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য চীন কখনো রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। আবার রাশিয়ার অভিযানকে আগ্রাসনও বলেনি। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে বলেই দাবি করেছে। ওদিকে ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়া এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার দ্বার খোলা রেখেছে। তবে ইউক্রেন বলছে, কোনো শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার আগে ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ রাশিয়ার দখল করা সব অঞ্চল এবং ইউক্রেনের প্রতি ইঞ্চি ভূমি থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে মস্কোকে।

রাশিয়ার বেলগোরদে গোলাবর্ষণে নিহত ২ : রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরদে গোলা হামলায় দুই নারী নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ। তিনি বলেন, মাসলভা প্রিস্টান গ্রামের কাছে একটি প্রাইভেটকারে ঘুরে বেড়ানোর সময় ওই দুই নারী শার্পনেলের আঘাতে নিহত হন। কাছের ব্রায়ানস্ক ও কুর্স্ক অঞ্চলের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতভর গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলায় কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। রাশিয়ার অভ্যন্তরে আগের কয়েকটি হামলার ক্ষেত্রেও জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিয়েভ। তারা দাবি করেছে, রাশিয়ার সরকারবিরোধী গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালাচ্ছে। বিবিসি জানায়, ক্রেমলিনবিরোধী অন্যতম একটি আধাসামরিক গোষ্ঠী বলেছে, তারা নভায়া টাভোলজাঙ্কা গ্রামে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর