গত জুনে ইরান ও দখলদার ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলে ১৬ পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি। গতকাল বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ ওই জেনারেলের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধের প্রথম দুই-তিন দিন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্যের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু এরপর তারা ঘুরে দাঁড়ান এবং যুদ্ধের শেষ দিকে ইসরায়েলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে সমর্থ হন।
তিনি দাবি করেছেন, বিদেশিদের পর্যবেক্ষণই বলেছে এ যুদ্ধে ইরান জয় পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের প্রথম দুই-তিন দিন আমাদের দুর্বলতা ছিল। কিন্তু চতুর্থ দিন থেকে ভারসাম্য পরিবর্তন হয়ে যায় এবং শেষ দিনগুলোতে আমাদের আধিপত্যই ছিল।’
তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল চেয়েছিল ইরানকে অস্থিতিশীল করে তুলতে। এ ছাড়া তাদের সামরিক ও পারমাণবিক শক্তির দিক দিয়ে দুর্বল করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা এতে সফল হয়নি। এই জেনারেল আরও বলেছেন, তারা ইসরায়েলিদের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং টার্মিনালগুলোতে আঘাত হানেন। এতে করে ইসরায়েলিরা নত হতে বাধ্য হন। ওই সময় ইরানের অভিযানে ইসরায়েলের ১৬ জনের বেশি পাইলট নিহত হন। এ ছাড়া ইরানি হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে ৬০০ থেকে ৬৫০টি আকাশ প্রতিরক্ষা মিসাইল ব্যবহার করতে হয় বলেও জানান তিনি। এতে করে ইসরায়েলের মিসাইল বহুলাংশে হ্রাস পায়। যুদ্ধের পর ইরান এখন তাদের সামরিক শক্তি আবারও পুনর্গঠন করছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইরানে বিনা উসকানিতে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এরপর ইরানও ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু কওে, যা টানা ১৩ দিন চলে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। সূত্র : মেহের নিউজ
