আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশ সহ ভারতের পাঁচ রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিধানসভার নির্বাচন। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। ভারতের হিন্দি বলয়ে আধিপত্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে কৌশলগত গুরুত্বের দিক থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মনে করা হয়ে থাকে এই রাজ্যটিতে যে দল সরকার গঠন করবে, লোকসভার নির্বাচনেও সেই দল তত বেশি অ্যাডভান্টেজ পাবে। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৪ সালে ভারতে পরবর্তী লোকসভার নির্বাচনের আগে এই বিধানসভার নির্বাচন প্রতিটি দলের কাছেই সেমিফাইনাল।
একদিকে মোদি-অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি, অন্যদিকে রয়েছে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি (সপা), মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন ‘বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বসপা), এছাড়াও কংগ্রেস তো রয়েছেই। সেই সাথে রয়েছে আরও কিছু আঞ্চলিক দলও।
দেশটির বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশে মোট বিধানসভার আসন ৪০৩ টি। মোট ৭ দফায় চলবে ভোট প্রক্রিয়া। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি, এর পরের দফাগুলি যথাক্রমে ১৪, ২০, ২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩, ৭ মার্চ।
উল্লেখ্য শেষবার ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনও সাত দফায় সম্পন্ন হয়েছিল। সেসময় ৪০৩ আসনের মধ্যে ৩১২ আসনে জিতে সরকার গঠন করেন বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসে যোগী আদিত্যনাথ। এবারও হিন্দি বলয়ের এই রাজ্যটিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা বলে পরিচিত যোগী। ইতিমধ্যেই ডান-বাম প্রত্যেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে। যদিও এবারের নির্বাচন বিজেপির কাছে অতটা সহজ নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই রাজ্যের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না ঠিকই কিন্তু বিজেপি বিরোধী হাত শক্ত করতে উত্তরপ্রদেশে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের উদ্দেশ্যে উড়ে যান মমতা। সেখানে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ‘আমি চাই বিজেপি যাতে হারে এবং সমাজবাদী পার্টি জিতুক। উত্তরপ্রদেশের আগামীর দিশা দেখানোর জন্য তাদের জেতা উচিত। অখিলেশের (সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি) আমন্ত্রণে ওদের হয়ে প্রচারণা করতে আমি যাচ্ছি। জোটে লড়লে ভাল হতো, কিন্তু আমি প্রার্থী দিইনি। কিন্তু তার পরও আমি যাচ্ছি কেবল তাকে নৈতিক সমর্থন দেওয়ার জন্য। কারণ এখন আর ভোট কেটে লাভ নেই।’
মমতা এদিন সাফ জানিয়ে দেন ‘অখিলেশরা সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমার মনে হয় সেই লড়াইয়ে বিজেপি বিরোধী আমাদের সকলকেই সমর্থন করা দরকার।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন