বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০২২’ যথাযথ মর্যাদায় কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উদযাপিত হয়েছে।
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ‘মুজিব চিরঞ্জীব’ মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের নেতৃত্বে উপ-হাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার ও প্রেস উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ ছাড়া উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মচারী, কলকাতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা/কর্মচারী বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামসুল আরিফ এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) সানজিদা জেসমিন। পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে ১ম ধাপের অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ১৬ মার্চ বিকালে উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলা’ এর ওপর চিত্রাঙ্কন এবং “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠানে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা করা হয়। এরপর উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন। তারপর বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগরোন্নয়ন ও পৌরবিষয়ক, পরিবহন ও আবাসন দফতরের মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। বাবার কাছে শুনতে শুনতে আমি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর অনুরাগী। বঙ্গবন্ধুর শেখানো অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা আমরা করে চলেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ ও প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শাহরিয়ার কবির।
এর আগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের (ছাত্র-ছাত্রী) মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় খাবার। পরিশেষে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি, নাচ পরিবেশন, গার্গী ও তার দলের নৃত্য পরিবেশ এবং শিল্পী অর্ণব বসু ও শিল্পী নূরজাহান আলিমের সংগীত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ