রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রযুক্তি

বিরামহীন তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ল্যাডিং স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে বিরামহীন তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। ২০১৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ যুক্ত হবে নিরবচ্ছিন্ন তথ্যপ্রযুক্তিতে। এ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত হবে দেশ। প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের গ্রাউন্ড লোকেশন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের কুয়াকাটা সংলগ্ন গোড়াআমখোলা পাড়ায়। এসব তথ্য বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) সূত্রে পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ কক্সবাজারে অবস্থিত একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলে যুক্ত আছে। কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সংস্কার বা মেরামতের জন্য দেশ অনেক সময় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। ২০১৩ সালে ১০ একর জমি প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয়পূর্বক এ ল্যান্ডিং স্টেশনের প্রকল্প এলাকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়ছে ৬৬৮ কোটি টাকা। ভরাট করা হয়েছে প্রকল্প এলাকা, তৈরি করা হচ্ছে সীমানাপ্রাচীর। ভৌত অবকাঠামো এবং ভবন নির্মাণের জন্য ৩৬০টি পাইলিং দেওয়া হয়েছে। পালিং, রাজমিস্ত্রি, ড্রেজার মেশিনে বালু ভরাট, ভবন নির্মাণে কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রকল্প এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাট। স্টেশনকে ঘিরে তিন শতাধিক পরিবার আসছে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের আওতায়। মূল ভবনের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে। সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণে দেশি-বিদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
এ ছাড়া নির্মাণকাজ ঘিরে এখন স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কর্মব্যস্ততা। এ প্রকল্পে এখন প্রায় ২০০ শ্রমিক কর্মরত আছেন, যারা বছরের একটা সময় কাজের সন্ধানে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে অবস্থান করতেন। নিজ এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তৈরি হওয়ায় তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনার।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়ছে ৬৬৮ কোটি টাকা। এ স্টেশনের সঙ্গে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ১৬টি টেলিকম কোম্পানি সংযুক্ত থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২০১৬ সালের শেষের দিকে কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে সমুদ্রে মেরিন সার্ভে শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ হাজর ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ড উইথ ইন্টারনেটে যুক্ত হবে বাংলাদশে। এ ছাড়া ম্যানহোল নির্মাণের জন্য ৫৬ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও চলছে।

সর্বশেষ খবর