শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

শাহজালালে সোনার খনি

সিঙ্গাপুর ফেরত দুই ভাই আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহজালালে সোনার খনি

হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেন সোনার খনি। পরতে পরতে সোনা। বিমানে, টয়লেটে, শরীরে তল্লাশি করলেই সোনা পাওয়া যাচ্ছে। সোনা আনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বল করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব কৌশলের কাছে প্রায়শই হার মানছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। মাঝেমধ্যে দু-একটা সোনার চালান ধরা পড়লেও অধিকাংশ অধরাই থাকছে। গতকালও বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর-ফেরত দুই ভাইয়ের কোমরে ১৪ কেজি ৩৩০ গ্রাম সোনা পাওয়া গেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম হিল্লোল বলেন, গতকাল দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে টিজি-৩২১ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন দুই সহোদর মামুন খান ও মুরাদ খান। বিমানবন্দরে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটক করা হয়। তাদের তল্লাশি করে ৩৭টি ১০০ গ্রাম সোনার বার, একটি এক কেজি সোনার বার ও সাড়ে ৯ কেজি অলঙ্কারসহ মোট ১৪ কেজি ৩৩০ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। তারা কোমরে বাঁধা বিশেষ বেল্টের মধ্যে সোনার বার ও অলঙ্কার লুকিয়ে এনেছিলেন। মামুন ও মুরাদ চলতি বছর এ রকম দুটি চালান বিদেশ থেকে এনেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। এর আগে ৭ জুন খোরশেদ আলম নামে এক যাত্রীর পায়ুপথে ৫০ লাখ টাকার সোনা এবং নিজাম উদ্দিন নামে অপর এক যাত্রীর কাছে ডিটারজেন্ট পাউডারে আনা এক কেজি সোনার গুঁড়া পাওয়া যায়। ৪ জুন বিমানবন্দরে কামাল হোসেন নামে এক যাত্রীর পায়ুপথে ৪০ লাখ টাকার সোনা পাওয়া যায়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, বিমানবন্দরে সোনার চোরাচালান ঠেকাতে কাস্টমস কর্মকর্তারা তত্পর রয়েছেন। পাচারকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে সোনা পাচারের চেষ্টা করছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা সোনা পাচারের সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হচ্ছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর