ঢাকা মহানগরে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ঈদের পর দুই ভাগে এই কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ঢাকা জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা আশা করছেন, ঈদের পরপরই কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরেও নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে পদ প্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী দুই নেতা মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার অনুসারীরা যার যার মতো করে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের বলয়ে কমিটি করতে ওই দুই নেতাও ঘাম ঝরাচ্ছেন। কেউ কেউ লন্ডনেও যোগাযোগ করছেন। দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, ঢাকা মহানগরে দুই ভাগের পক্ষে বিএনপির বড় একটি অংশ। এক ঢাকায় সমন্বয়ক করে উত্তর ও দক্ষিণ শাখায় দুজন সাধারণ সম্পাদকের আলোচনাও রয়েছে বিএনপিতে। সেক্ষেত্রে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু সমন্বয়ক হতে পারেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, মিন্টুর পাশাপাশি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করে অবিভক্ত ঢাকার কমিটি ঘোষণা হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। বেগম জিয়া এখনো অবিভক্ত ঢাকার পক্ষে বলে জানা গেছে। ‘এক নেতার এক পদ’ কার্যকর হলে দুই নেতাকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সম্পাদকীয় পদ ছাড়তে হতে পারে। অবশ্য বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ বিবেচনাও কেন্দ্রের পাশাপাশি মহানগর কমিটিতে যে কেউ জায়গা করে নিতে পারেন। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা হয়েছে। ঢাকা জেলা কমিটিও হয়েছে। এখন ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগ করা হলে সাংগঠনিকভাবে রাজনীতিতে গতি আসবে। ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটি করা হলে সংগঠনও শক্তিশালী হবে। অনেকেই বিএনপির মূল কমিটি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের মহানগরের নেতৃত্বেও নিয়ে আসা যাবে।’ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় আন্দোলনে খোকা-সালামের কমিটি ব্যর্থ হওয়ায় মহানগর ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই হাইপ্রোফাইলের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। কিন্তু আব্বাস-সোহেলের কমিটিও খোকা-সালামের পথে হাঁটেন। ফলাফলশূন্য আন্দোলনের পর নতুন নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর কমিটি করার চিন্তাভাবনা করছেন বেগম জিয়া। অবশ্য মির্জা আব্বাস ঘনিষ্ঠজনরা জানান, মির্জা আব্বাস আর ঢাকার রাজনীতি করতে চান না। জানা যায়, বিভক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বিএনপি নেতাদের মধ্যে সভাপতি পদে হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম ও কাজী আবুল বাশারের নাম শোনা যাচ্ছে। অবশ্য বিএনপির নতুন নির্বাহী কমিটিতে আবদুস সালামকে উপদেষ্টা পদে রাখা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। হুলিয়া নিয়ে তিনিও নেতা-কর্মীদের আড়ালে। সেক্ষেত্রে সভাপতি পদে প্রকাশ্যে এগিয়ে আছেন কাজী আবুল বাশার। আব্বাস-খোকা দুই গ্রুপের সঙ্গেই তার সুসম্পর্ক রয়েছে। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) তাকে ঢাকা মহানগরের নেতৃত্বে রাখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। সভাপতি করা হলে সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করার কথা জানান তিনি। সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, সাবেক কমিশনার নবীউল্লাহ নবী, তানভীর আহমেদ রবিন, ইউনূস মৃধা ও হারুন অর রশীদের নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে এম এ কাইয়ুম ও তাবিথ আওয়ালের নাম শোনা যাচ্ছে। ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা হত্যা মামলায় কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। হুলিয়া নিয়ে তিনি দেশও ছেড়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসান ও যুবদল উত্তরের সভাপতি মামুন হাসানের নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানান, এক নেতার এক পদ কার্যকর করলে বিএনপি বা অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে অনেকেরই জায়গা হবে। ঢাকা মহানগরে যারা শীর্ষ পদে থাকবেন, তাদের স্বেচ্ছায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্পাদকীয় পর্যায়ের পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।
শিরোনাম
- হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
- জার্মানিকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি তৎপরতায় লিপ্ত ৮০ হাজার বিদেশীর ভিসা বাতিল
- ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
- ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
- রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা
- বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
- নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
- চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
- আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
- ‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
- শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
- মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার
- তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা
- রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল
- সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪
- হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা
মাহমুদ আজহার
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর