সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মামলায় আশার আলো দেখছেন না পরিবার

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

মামলায় আশার আলো দেখছেন না পরিবার

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ৭ মাস পূর্ণ হয়েছে ২০ অক্টোবর। এই দীর্ঘ সময়েও মামলার অগ্রগতি হয়নি। ফলে কোনো আশার আলো দেখছে না পরিবার।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেছেন, ‘৭ মাস পার হলেও তনু হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। তার জন্য আমার কলজেটা খা খা করে। মেয়ে হারানোর ব্যথা আমি বুঝছি। কয়েক দিন আগে সিআইডির কর্মকর্তারা এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারা বরাবরের মতোই বলেছেন, তদন্ত কাজ তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। কবে তাদের এ তদন্ত শেষে হবে জানি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার শরীর ভালো যাচ্ছে না। প্রায়ই চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন হলেও সন্দেহভাজনদের ডিএনএ মেলানো হচ্ছে না। আমরা চাই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা হোক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করে যাব।’

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার এএসপি জালাল উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি     করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। ১৬ মে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা জানালে আবারও আলোচনায় ওঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। ১২ জুন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা করার ও ধর্ষণের আলামত না থাকার কথা বলা হয়। এ অবস্থায় জুলাই মাসের শেষ দিকে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানকে বদলি করা হয়।

সর্বশেষ খবর