সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গোমতীর তীরে ঘুড়ি উৎসব

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

গোমতীর তীরে ঘুড়ি উৎসব

কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে প্রতিদিন বিকালে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দে মেতে ওঠে কিশোর ও তরুণরা। জেলার সদর উপজেলার গোমতী পাড়ের রত্নবতী, টিক্কারচর, বানাশুয়া ও পালপাড়া এলাকায় প্রতিদিন নীল আকাশে ঘুড়ির মেলা বসে। ঘুড়ির সঙ্গে উড়ে বেড়ায় কিশোর ও তরুণদের উচ্ছল মনও। প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এ ঘুড়ি উড়ানো দেখতে সেখানে প্রতিদিন বিকালে ভিড় করে গ্রামের শত শত উৎসুক মানুষ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রাম বাংলার নির্মল আনন্দের ঐতিহ্যবাহী খেলা ঘুড়ি উড়ানো এখন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে কম খরচের এই খেলা দারুণ জনপ্রিয় কুমিল্লার সদর উপজেলার গোমতী নদী পাড়ের কয়েকটি গ্রামের কিশোর ও তরুণদের মাঝে। সদর উপজেলার রত্নবতী, টিক্কারচর, বানাশুয়া ও পালপাড়া এলাকায় প্রতিদিন নীল আকাশে ঘুড়ির মেলা বসে। বেশি খেলোয়াড়ের ভিড় জমে রত্নবতী এলাকায়। এখানে তরুণদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মুখর থাকে নদীর তীর। খেলায় অংশ নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থী রত্নবতী গ্রামের ফয়সাল ও সিয়াম জানান, ঘুড়ি উড়াতে ৬-৮ রিল সুতা, সাগু ও কাচ ভাঙা দিয়ে সুতার মাড়, ঘুড়ি কেনা ও নাটাই মিলিয়ে ২০০ টাকার মতো খরচ হয়। শুধু ঘুড়ি উড়ানোতে আনন্দ নেই। মাড় দেওয়া ধারালো সুতা দিয়ে প্যাঁচ খেলে অন্যের ঘুড়ি বোকাট্টা (কেটে দেওয়া) করাতে বেশি আনন্দ। একেকজন প্রতিদিন ৫-৬টি ঘুড়ি নিয়ে আসে। একটি কেটে গেলে অন্যটি দিয়ে খেলে। কেটে যাওয়া ঘুড়িগুলো আবার ছোটরা কুড়িয়ে এনে খেলে। লাল-সবুজ-হলুদ, বেগুনি বিভিন্ন কালারের ঘুড়ি রয়েছে। এগুলোর দাম ৫ টাকা করে। তবে দুই কালারের ঘুড়ির দাম ৭ টাকা। কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি শিবলী নোমানী জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা ঘুড়ি উড়ানো টিকে থাকুক, টিকে থাকুক বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি। নির্মল আনন্দে মেতে উঠুক আগামীর প্রজন্ম। এ খেলার প্রসারে জেলা ক্রীড়া সংস্থাও ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর