দেশের বাজারে পিয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা- দুই বাজারেই এ দাম একই হারে বেড়েছে। গতকাল ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৪ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে। টিসিবির বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, এক মাসে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি মজুদ পেঁয়াজ এখন কৃষকদের ঘরে নেই। থাকলেও তা সীমিত। এ কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। দেশে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের মূল অংশ ভারত থেকে আসে। ভারতে গত এক সপ্তাহে দাম বাড়ছে। এ কারণে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। জানা গেছে, দেশে বছরে ২২ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন দেশে উত্পাদিত হয়। বাকিটা মূলত ভারত থেকে আমদানি হয়। ভারতে দর বেশি থাকলে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৩২ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা পড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে কাঁচাবাজারে এখনো আগুনছোঁয়া দর। কোনো সবজি ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি ৬০-৬২, কাঁকরোল ৫৫-৬০, ঢেঁড়শ ৫০-৫৫ ও শিম ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দরবৃদ্ধিতে এখনো ওপরে রয়েছে কাঁচা মরিচ। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০, টমেটো ১৪০, ধুন্দুল ৫৫ টাকা। এছাড়া লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০, লালশাক প্রতি আঁটি ২০, ডাঁটাশাক ২০, কলমিশাক ২০, পুঁইশাক ৪০ ও পাটশাক ১৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হয়েছে। শীতের সবজি এখন ওঠা শুরু করেছে। তবে দর খুব বেশি। ছোট্ট একটি ফুলকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শিরোনাম
- তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা
- রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল
- সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪
- হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
- উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
- দুই লাখ ২০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
- তরুণ প্রজন্ম দেশকে উদ্যোক্তা বান্ধব রাষ্ট্রে পরিণত করবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চার জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯২০
- কান্নার শব্দে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হলো ২ দিনের নবজাতক
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
- ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের আরও ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
- পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ
- ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন
- চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের
- এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা
- সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
- লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ