সুনামগঞ্জে গেল নির্বাচনে ১১টির মধ্যে যে ১০টি উপজেলায় নির্বাচন হয়, এর সাতটিতে বিজয়ী বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যানদের অনেকেই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে হাইকমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের একতরফাভাবে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দিতে চান না তারা। দলীয় পদ-পদবিতে থাকা এসব চেয়ারম্যান কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দল অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিলেও নির্বাচন করবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে অনেকেই বলেছেন, সেটা সময় এলে বোঝা যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, সদর, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজীয় হন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। পরবর্তী সময়ে জগন্নাথপুর উপজেলায় চেয়ারম্যানের পদটি দখলে নেয় বিএনপি। জেলার এই আট উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ার বছরখানেক পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে গতবারসহ টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। জাকেরীন বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে আমি ঢাকায় আছি। গত সংসদ নির্বাচনে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা একেবারে নেই। এর পরও দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমি নির্বাচনে যাব।’ তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুতি আছে। এখন দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’ তিনি বলেন, ‘সেই সঙ্গে ভয়ও আছে, জনগণ ভোট দিলে ভোট থাকবে কি না। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব।’ নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম ঝুনু। আর ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব খান বলেছেন, দল সিদ্ধান্ত দিলে নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন। তবে শাল্লা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র কুমার সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে কারচুপির যে নজির দেখেছি, এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোনো লাভ হবে না। দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। পরিবেশ থাকলে অংশ নিতাম এবং বিজয়ীও হতাম।’ এদিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মাঠে রয়েছেন বিএনপির অনেক প্রার্থী। দল নির্বাচনে অংশ নিল কি নিল না সেদিকে না তাকিয়ে স্থানীয় ভোটারদের ওপর ভরসা করে ভোটে লড়তে চান তারা।
শিরোনাম
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
- টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
- নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
- মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
- তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
- সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
সুনামগঞ্জ বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যানরা কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে
মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর