মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

নতুন জাতের সুন্দরী ধান

দিনাজপুর প্রতিনিধি

নতুন জাতের সুন্দরী ধান

বেগুনি রঙের নতুন জাতের ‘সুন্দরী’ ধান চাষ করেছেন কৃষক আবদুল হাকিম। আর ১০/১২ দিন পরেই এই ধান কাটবেন তিনি। এখন সুন্দরী ধান মাঠে সোনালি রং ধারণ করেছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এ ধান বিঘাপ্রতি ৩০/৩৫ মণ পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষক আবদুল হাকিম তার জমিতে ‘সুন্দরী’ ধানের চারা রোপণ করেন। ফসলের মাঠের চারদিকে রোপণ করা হয় সবুজ রঙের ইরি-বোরো ধানের চারা। অন্যান্য জমির ধানের চারার রং সবুজ হলেও হাকিমের জমির ধানের চারার রং বেগুনি। সড়কের ধারে ধান খেতটি হওয়ায় এবং রং বেগুনি দেখে ওই পথে যাতায়াতকারীদের সবার নজর কাড়ে। নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামের কৃষক আবদুল হাকিম এক বিঘা জমিতে এই নতুন ধান ‘সুন্দরী’ চাষ করেছেন। ভবিষ্যতে এ এলাকা ছাড়াও অন্যত্র এই সুন্দরী ধানের আবাদ হবে বলে অনেকে আশা প্রকাশ করেন। কৃষক আবদুল হাকিম জানান, গত মৌসুমে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুলালী বেগম এই সুন্দরী জাতের ধান চাষ করেন। অন্যান্য ধানের চারা দেখতে সবুজ হলেও সুন্দরী ধানের চারা বেগুনি রঙের হয়। তিনি কৌতূহলবশত চলতি বছর দুলালী বেগমের কাছ থেকে এক কেজি ধানের বীজ দেড় হাজার টাকায় কিনে এনে বীজতলা করেন। বর্তমানে ধান গাছের গোছাগুলো উফশী জাতের ধানের মতো। গোছার রং বেগুনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার সমস্যার কথা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাকে বললে তারা তাদের অফিসে যেতে বলেন। মাঠে না এসে এসব কথা বলেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুলালী বেগমের সঙ্গে কথা বলে সুন্দরী ধানের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তার পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে আবদুল হাকিমকে উদ্বুব্ধ করা হচ্ছে। এই উপজেলার অন্য এলাকাতেও এই ধানের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করা হবে। যাতে এই সুন্দরী ধানের আবাদ জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ধানটির ফলন যদি ভালো হয়, তাহলে এর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন এর ফলন কী রকম হবে, তা জানতে ধান কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর