বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তোপের মুখে কুষ্টিয়া ছাড়লেন বুয়েট ভিসি

আবরারের ভাই-ভাবীকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সাধারণ মানুষের তোপের মুখে নিহত আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা না করেই কুষ্টিয়া ছেড়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান। তার সেখানে যাওয়ার খবরে আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ সময় আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশপাশ এলাকায় র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়। বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে রায়ডাঙ্গা গ্রামে উপস্থিত হয়ে আবরারের কবর জিয়ারত করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার পদত্যাগ চাইছেন অনেকে, তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা? এর জবাবে ভিসি জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না। এর পরই আবরার ফাহাদের বাড়ির দিকে রওনা হন ভিসি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু স্থানীয় নারী-পুরুষ-শিশুদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এ সময় আবরারের ভাবি তমা ভিসির সঙ্গে কথা বলতে যান। কিন্তু তমা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। ফলে স্থানত্যাগ করেন ভিসি। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভিসির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তমাকে পুলিশ মারধর করে। তারা তমার ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি করেন। এখনো আবরারের বাড়ির সামনে থেমে থেমে বিক্ষোভ চলছে। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘ভিসি এসে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত না গিয়েই ফিরে গেছেন। বিক্ষোভের মধ্যে তমার ওপর পুলিশ হামলা করে।’ এদিকে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তবে পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে দাবি করা হয়েছে, ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরার ফাহাদের দাদা, বাবা, চাচা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। শেষে তার বাবা ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভিসি ঢাকায় ফিরে যান। এতে আরও দাবি করা হয়, পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর কোনো সংঘর্ষের ঘটনাই ঘটেনি।

সর্বশেষ খবর