শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

পরিযায়ী পাখি উল্টোঠুঁটি

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

পরিযায়ী পাখি উল্টোঠুঁটি

পাকড়া উল্টোঠুঁটি। এটি একটি পরিযায়ী পাখি। শীত প্রধান অঞ্চল থেকে শীতকালে এরা আমাদের দেশে আসে। এদের ঠোঁট উল্টো করে বাঁকানো। হয়তো তাই এদের নাম হয়েছে উল্টোঠুঁটি। ইংরেজি নাম pied avocet. আর বৈজ্ঞানিক নাম Recurvirostra avosetta. এরা চেঙ্গা, ঢেঙ্গা বা চরা খুঁচি নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে শীতকালে নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর তীরে এই পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। সম্প্রতি রাজশাহীর পদ্মা নদীর চর থেকে এই পাখিটির ছবি তুলেছেন বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী লিসান আসিব খান। পাখি বিশারদরা জানান, উল্টোঠুঁটি হলো মাঝারি আকারের  পাখি। এরা শোরবার্ড পরিবারভুক্ত। এদের শরীরের রং ধবধবে সাদা। ডানায় কালো রঙের তিনটি ঘন ব্যান্ড রয়েছে। পা নীল ধূসর রঙের। এরা জলাশয়ের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। হেঁটে চলে জলাশয়ের হালকা জলে। কম জোয়ারের সময় মোহনা বা প্লাবনভূমির অগভীর জলে চিংড়ি বা অন্যান্য ক্ষুদ্র পোকামাকড় সন্ধান করে বেড়ায়। আর উচ্চ জোয়ারের সময় কাদামাটি, জল বা উপকূলে থাকে।

এপ্রিল-আগস্ট মাসে এরা ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার লবণাক্ত জলাভূমিতে প্রজনন করে। এসময় এরা  অগভীর হ্রদ, ঝর্ণা, জল এবং কাদামাটি দিয়ে খোলা মাঠে বাসা বাঁধে। ৩ থেকে ৫টি ডিম পাড়ে। বিশ্বখ্যাত পাখি প্রজাতির সংরক্ষণ সংস্থা রয়্যাল সোসাইটি ফর প্রটেকশন অফ বার্ডস (আরএসপিবি) এই পরিযায়ী পাখিটি তাদের লোগো হিসেবে ব্যবহার করেছে। বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী লিসান আসিব খান বলেন, এরা পরিযায়ী পাখি। শীতের শুরুতে এদের আগমন ঘটে রাজশাহীতে। খুবই সংবেদনশীল একটি পাখি। মানুষের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই পালিয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা পদ্মা নদীর ঠা-া পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবে থেকে এই ছবিটি তুলতে হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর