উখিয়া ও টেকনাফের ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে রোহিঙ্গারা যেমন অবাধে চলাফেরা করছে, তেমনি এনজিও সংস্থার দেশি-বিদেশি কর্মকর্তারা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কার্যক্রম। এখানকার মোট ৩৪টি ক্যাম্পে মানবিক সেবা কার্যক্রমে বিভিন্ন সংস্থার ১২০০ বিদেশির পাশাপাশি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি। তবে ২৫ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মানবিক সেবা কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পে বিদেশি এনজিও দিয়ে পরিচালিত দুটি হাসপাতালে ১০০ শয্যার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উখিয়ায় ক্যাম্পের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবার জন্য ২০০ শয্যার আরও একটি হাসপাতাল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও), যেখানে হোস্ট কমিউনিটি অর্থাৎ স্থানীয়রাও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি ভারত থেকে আসা চার সদস্যের একটি পরিবার এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা একজনসহ মোট ১৫ জনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে অনেকটা গাদাগাদি করে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। ঘনবসতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, অপরিকল্পিত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বিদেশিদের আনাগোনার কারণে এসব ক্যাম্পে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ২৫ মার্চ থেকে সেবা কার্যক্রম সীমিত করা হলেও এর আগে এই বিপুলসংখ্যক মানুষ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবাধে চলাচল করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রোহিঙ্গাদের কারণে তারাও অধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন। ক্যাম্পগুলোয় আপাতত বিদেশিসহ জরুরি কাজ ছাড়া কোনো বহিরাগত না এলে ভালো। এলেও তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাঠানো হোক। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরার মধ্যে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে তাদের আরও সচেতন করতে হবে। কারণ এখানে এই ভাইরাস কোনো কারণে আক্রমণ করলে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়বে। কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা (আরআরআরসি) মাহবুব আলম তালুকদার জানান, ভারত থেকে আসা এক পরিবারের চারজন ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা একজনসহ ১৫ জন রোহিঙ্গাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৪৭ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরে থেকে আসা কোনো বিদেশিকে ক্যাম্পে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমিতভাবে মানবিক সেবা কার্যক্রম যারা করছেন, তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে চলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘনবসতির বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকায় সতর্ক রয়েছি। ক্যাম্পের ভিতরে রোহিঙ্গা ভাষায় নিয়মিত ক্যাম্পেইন করে তাদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণ ও এর ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে। জরুরি খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ সরবরাহ ছাড়া অন্যান্য সেবা কার্যক্রম অনেকটাই সীমিত রয়েছে। তবে ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০০ শয্যার একটি হাসপাতাল করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জায়গাও দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি দ্রুত এর কার্যক্রম শুরু হবে।’
শিরোনাম
- ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
- দ্রুত বাড়ছে আমদানি ব্যয়, বাণিজ্য ঘাটতি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি
- নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
- গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী
- তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
- ভারতের ছত্তিশগড়ে তুমুল সংঘর্ষ, ছয় মাওবাদী নিহত
- অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
- বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ঢাকা, বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- স্থায়ী ২২ বিচারপতির শপথ আজ
- আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
- দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?
- ৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
- রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
- শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
- গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
- রাবির হলে গাঁজা সেবনকালে ৭ শিক্ষার্থী আটক
- ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
- কলাপাড়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার
- জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার