নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি নতুন ছাত্র ভর্তি না হয়, ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা যদি অর্থাভাবে রি-এনরোলমেন্ট করতে না পারে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফান্ড খুব কমে যায়। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোর এখনই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়ার ক্ষমতা নাই। কেউ কেউ বেতন দেওয়া বন্ধ করেছে, কেউ বোনাস দেয়নি। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বেতন কমিয়ে দিয়েছে শিক্ষকদের। এই যদি অবস্থা হয়, তবে ছাত্র নয়, শিক্ষকও না থাকার অবস্থা হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে থাকল কী বিশ্ববিদ্যালয়ের! বলা যায়, করোনার এই সময়ে টিকে থাকার যুদ্ধ শুরু হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁচা-মরার সমস্যা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। উপাচার্য বলেন, যখন একজন ছাত্রকে ভর্তি করা হয়, তখন একই সঙ্গে তার ভবিষ্যতের দায়িত্বটাও নিতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে আছে। অনেকের পরিবারের হয়তো উপার্জনকারীর চাকরি চলে গেছে। অথবা অন্য সমস্যায় পড়েছে তারা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থাও চিন্তা করতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা রয়েছে, তারা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে। যতটুকু সম্ভব অনলাইন ক্লাস করে তাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, তাদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখা শিক্ষকদের দায়িত্ব। তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে সরকার ইন্টারনেট খরচ বিনামূল্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সক্ষমতা কম, শিক্ষার্থী সংখ্যা কম, তারা চার-পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করতে পারে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, অন ক্যাম্পাস পড়াশোনার কোনো বিকল্প নাই। কারণ ক্যাম্পাসে আড্ডা দেওয়ারও একটা তাৎপর্য রয়েছে। কিন্তু করোনার দুর্যোগ শিগগিরই কেটে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই এ পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প নাই। উপাচার্য বলেন, দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে আমাদের। নানা সমস্যার সমাধান প্রযুক্তিগতভাবে করার চেষ্টা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।