শীতের সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলে অসুস্থ বা খাদ্যাভাবে ক্লান্ত অবস্থায় আসে বিলুপ্ত প্রায় শকুন। ঠিকমতো উড়তে না পারা এ শকুন উদ্ধার করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলের দিকে এসব শকুন প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত বছরে ১৩টি শকুন সুস্থ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে ২০টি শকুন। এ শকুনের খাবার হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ৬ কেজি বয়লার মুরগি দেওয়া হয়। এছাড়া স্যালাইন, পানি ওষুধ দেওয়া হয় বলে জানায় শকুনের দেখভালের তদারককারী বেলাল হোসেন। সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ জানান, বিলুপ্ত প্রায় উদ্ধার শকুনকে রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুনগুলো অবমুক্ত করা হয়। ৪ বছর ধরে দেশে বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুন বাঁচাতে আইইউসিএন বাংলাদেশ ও বন বিভাগ যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুন পুনর্বাসন করে আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এখানে বর্তমানে পরিচর্যায় রয়েছে ২০টি শকুন। এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিভিন্ন এলাকায় শকুন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিংড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত বছরের এপ্রিল ১৩টি শকুন সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।