বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
ওয়াশিংটনে মোমেন-ব্লিনকেন-ম্যানেন্ডেজ বৈঠক

একাত্তর ও বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের ফিরিয়ে আনা ছাড়াও প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে চার দিনের সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরী এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে জড়িত ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আলবদর আশরাফুজ্জামান খানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পুরনো প্রসঙ্গটি আরও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করবেন। বাইডেন প্রশাসনের মুক্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতির কৌশলের আওতায় বাংলাদেশের জন্যে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি ইস্যুতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে) বৈঠকে মিলিত হবেন। উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনমন্ত্রী উইলিয়াম বার এক ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুর ঘাতক রাশেদ চৌধুরীর এসাইলাম প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটি সক্রিয় থাকতেই জো বাইডেন প্রশাসন অধিষ্ঠিত হয়েছে। ডেমোক্র্যাট-প্রশাসনে মানবতাবিরোধী এবং ঘাতকদের ব্যাপারে কোনো ছাড় থাকে না। দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপনার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডেলিগেট হিসেবে ড. মোমেনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে আলোকে দায়িত্ব গ্রহণের পরই করোনার ভীতি সত্ত্বেও ছুটে এসেছেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। প্রবাসের রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, মোমেনের এই সফর বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও শেখ হাসিনা প্রশাসনের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা দন্ডিত ঘাতকসহ বাংলাদেশের আরও কিছু গুরুতর অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকেও গ্রেফতার করে বাংলাদেশে নেওয়ার পথ সুগম হবে। ওয়াশিংটন ডিসি সফরকালে ড. মোমেন ইউএস সিনেটে ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান (নিউজার্সির ডেমোক্র্যাট) সিনেটর বব ম্যানেন্ডেজের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন। সে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতেও কথা বলবেন তিনি। উল্লেখ্য, সিনেটর ম্যানেন্ডেজ ইতিপূর্বেও বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন। করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কোম্পানি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানিতে টালবাহানা, কেউ কেউ বকেয়া পরিশোধে উদাসীনতা প্রদর্শন করছে। এ নিয়ে কথা হবে সিনেটর ম্যানেন্ডেজের সঙ্গে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মতো ওষুধ কোম্পানিগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদার পরিপূরক ওষুধ প্রস্তুত ও সরবরাহে সক্ষম বলে অবহিত করবেন মার্কিন সিনেটে এই প্রভাবশালী নেতাকে। ড. মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন এবং বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর