বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

মানিকগঞ্জে লেবু চাষিরা লাভবান

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে লেবু চাষিরা লাভবান

করোনাকালে সব ধরনের ব্যবসায়ী যখন হিমশিম খাচ্ছেন সে সময় মানিকগঞ্জের লেবু ব্যবসায়ী ও চাষিরা ভালো দাম পেয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। একদিকে রমজান অন্যদিকে করোনায় লেবুর চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। লেবু চাষিরা ভালো দাম পেয়ে চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

মানিকগঞ্জের সর্বত্রই লেবু চাষ হয়। তবে ঘিওর উপজেলায় লেবুর আবাদ বেশি। তার মধ্যে বালিয়াখোড়া গ্রাম লেবুর জন্য বিখ্যাত। এ গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে কমবেশি লেবু গাছ। বাড়ির উঠান থেকে শুরু করে যেখানেই ফাঁকা জায়গা সেখানেই লেবু গাছ লাগানো হয়েছে। দেড় শতাধিক ছোট-বড় লেবুর বাগান রয়েছে এ এলাকায়। বালিয়াখোড়া এলাকাটি এখন লেবুর গ্রাম নামে পরিচিত।

লেবু চাষিরা বলেন, রমজান মাস, করোনা প্রতিরোধে গরম পানির সঙ্গে লেবুর ব্যবহার এবং প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে লেবুর। প্রতি হালি লেবু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ছোট লেবু প্রতি হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এবার পাইকারি দরও বেশ ভালো, লেবু বিক্রি করতে এখন আর আড়তে যেতে হয় না। পাইকাররাই বাগান থেকে লেবু সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে সময় ও খরচ বেঁচে যাচ্ছে। এখানকার চাষিরা কলম্বো, এলাচি ও কাগজি জাতের লেবু চাষ করেন। বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল খান বলেন, ‘বালিয়াখোড়া গ্রামে ৩০০ পরিবার বাস করে। এ গ্রামে ছোট-বড় মিলে কমপক্ষে ১৫০টি লেবুর বাগান আছে। তবে সব বাড়িতেই কমবেশি লেবু গাছ আছে। এ গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ লেবু চাষের আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।’ ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ‘ঘিওরের বালিয়াখোড়া ও সোদঘাটা গ্রামের চাষিরা লেবু চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এ অঞ্চলের লেবুর কদর রয়েছে সারা দেশে। এখন বিদেশেও যাচ্ছে ঘিওরের লেবু। কৃষি বিভাগ থেকে ওই এলাকার লেবু চাষিদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর