বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ছত্রাকজনিত বিরল রোগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক গৃহিণীর খোঁজ মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে চার দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই নারী। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। আক্রান্ত নারীর স্বামী পাঁচ দিন আগে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন।  

গত ২৫ জুন থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন ষাটোর্ধ্ব ওই গৃহিণী। গত ৩  জুলাই তিনি কভিড টেস্টে পজিটিভ হন। গত ১৫ জুলাই কভিড নেগেটিভ হন। কিন্তু শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন ধারণা করেন। পরে চিকিৎসকরা এ রোগীকে এমপোটেরিসিন-বি ইনজেকশন প্রতিদিন ৫ ভায়াল করে মোট ১৪ দিন প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হন্যে হয়ে খুঁজেও এ ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে না। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, ৫০ বছরের বেশি বয়েসী এ রোগী চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গতকাল নিশ্চিত হই, তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের অধীনে আছেন। আগামীকাল (আজ) পর্যবেক্ষণে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হবে কি না। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিরল এ রোগে  আক্রান্তের সংখ্যা খুবই হাতেগোনা। তবে সরকারিভাবে আপাতত এ ইনজেকশন জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এ রোগে যে ইনজেকশন প্রয়োজন তা দেশে নেই। ঢাকায় এক রোগীকে ইনজেকশন প্রয়োগ করা হলেও তা কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা খুব দুর্লভ একটা রোগ এবং চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। খুব কাছাকাছি দীর্ঘ সময় ধরে সংস্পর্শে না গেলে এ রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম। মূলত, কভিড আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে শুরু থেকেই এ রোগে চিকিৎসা করা জরুরি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর