‘করোনাকালে অনেক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়েছে। কারও কারও আয় উপার্জন কমে গেছে। অনেকের আবার চাকরি চলে গেছে। এই যে চাপ তৈরি হয়েছে- তা একটু একটু করে একসঙ্গে মানুষের ওপর অনেক বড় চাপ ফেলেছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে মানসিক চাপের পরিমাণও বেশি হয়ে গেছে। আর এই চাপ সব মানুষ সমানভাবে সহ্য করতে পারে না। যার ফলে তারা আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়। বিশেষ করে কম বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থীদের কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহফুজা খানম এসব কথা বলেন। মাহফুজা খানম বলেন, সাধারণত মানসিক চাপ সহ্য করার জন্য আমরা বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করে থাকি। এর মধ্যে কিছু কৌশল কার্যকর। যেমন- কেউ কেউ ধৈর্য ধরে, আবার কেউ ধর্মীয় বিশ্বাস বা পারিবারিক সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠেন। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই তারা পরিবারের সে ধরনের সহযোগিতা পান না। আবার কোনোভাবেই যারা আশাবাদী হয়ে উঠতে পারে না- তারা হতাশার চরমে চলে যায়। আর যখন হতাশা বেশি বেড়ে যায় তখনই তারা আত্মহত্যা করে। তবে মেয়েদের আত্মহত্যার জন্য এককভাবে কোনো কারণ দায়ী নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা এ জন্য অভিভাবকদের সব সময় সন্তানদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলি। এতে সন্তান তার মা-বাবার সঙ্গে মনের চাপ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। দেখা যায় যে, অভিভাবকদের সঙ্গে মনের কথা ভাগাভাগি করে নেওয়ার ফলে সন্তানদের মনের চাপ অনেকাংশেই কমে যায়। মনের কথা খুলে বললে অভিভাবকরাও সন্তানদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। সন্তানের মানসিক অবস্থা খুব বেশি খারাপ পর্যায়ে চলে গেলে তখন আমরা মানসিক বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিই।