শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

নীলফামারীতে চাষ হচ্ছে কিনোয়া

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারীতে চাষ হচ্ছে কিনোয়া

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া মাস্টারপাড়া গ্রামে চাষ হচ্ছে হাই প্রোটিনসমৃদ্ধ নতুন ফসল কিনোয়া। কিনোয়া দানাদার শস্য। এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-ই, পটাসিয়াম         এবং ফাইবারের একটি উৎস। শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর সুপার ফুড কিনোয়া যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কিনোয়াতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এবং লাইসিনসমৃদ্ধ, যা শরীরজুড়ে স্বাস্থ্যকর টিস্যু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কিনোয়া চাষে উপযোগী। কৃষকের দাবি স্বল্প খরচে ধানসহ অন্যান্য রবি ফসলের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ। কিন্তু এখনো সেভাবে বাজার গড়ে ওঠেনি। এ চাষ পদ্ধতি অতি সাধারণ। লাইন টেনে কিংবা বীজ ছিটিয়ে বপন করা যায়। এর চাষাবাদে তেমন কোনো পরিচর্যা, রোগবালাই নেই। শুধু জৈবসার ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। কম খরচে প্রতি বিঘায় চার থেকে পাঁচ মণ শস্যদানা ঘরে তোলা যাবে। এর পাতা মুখরোচক সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়ার জুড়ি নেই। কৃষি অফিস জানায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে বাংলাদেশের আবহাওয়া সহনশীল সুপার ফুড কিনোয়া-১ জাত উদ্ভাবন করে মাঠে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে এক বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে উচ্চমূল্যের কিনোয়া। মাগুড়ার মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া পরীক্ষামূলকভাবে ১২ শতাংশ, পাশের গ্রামের বিহারি রায় ২০ শতাংশ জমিতে কিনোয়া চাষ করেছেন। কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, কিনোয়া এ অঞ্চলে নতুন ফসল। তাই কিনোয়া সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। কিনোয়া রবি মৌসুমের শীতকালীন ফসল। যা ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, কিনোয়াসহ উচ্চমূল্যের নিত্যনতুন ফসল চাষে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষককে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এর আবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হবে।

সর্বশেষ খবর