বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিম্ন আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করতে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। এসব তেলের লিটারপ্রতি ক্রয়মূল্য পড়বে ১৭১ থেকে ১৭৩  টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া  এসব ভোক্তার জন্য  ৫ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১১১ টাকা। যা সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে নিম্ন আয়ের মানুষকে সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া ভিন্ন লটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার সংগ্রহ করবে সরকার। গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে মোট ১৬ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। দুটি বৈঠকেই সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে অনলাইনে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক। তিনি বলেন, পৃথক দুটি লটে ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একটি প্রস্তাবে সরাসরি ৪০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৩ দশমিক ৯৫ টাকায় কেনা হবে। পৃথক প্রস্তাবে ৮৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই লটে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭১ টাকায় কেনা হবে। এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড থেকে ৩৫ লাখ লিটার এবং সিনো এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। আবদুল বারিক বলেন, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপিত ১৬টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাতটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাবনা ছিল। তিনি বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ এবং দেশীয় ব্যাংক, এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ ১ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার ও সৌদি আরব আমদানির মাধ্যমে এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। এর মধ্যে কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের দাম নির্ধারণ করে প্রতি টন ৫৩৬.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে প্রথম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সারের মোট দাম ১ কোটি ৬০ লাখ ৯৫ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২ কোটি ৫০ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকা। সৌদি আরব থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ ছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জিসিবি এলাকায় ৬টি লটের মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডলিং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কনটেইনার বার্থ অপারেটর নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা। সভায় ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ)’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

সর্বশেষ খবর