শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আচরণ অনভিপ্রেত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মায়ের কান্না নামে সংগঠনের সদস্যদের কথা না শোনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট পেশাজীবী, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূতের এ আচরণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী। পিটার হাসের এ আচরণকে অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন তারা। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তারা বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় যান। তিনি বেরিয়ে আসার পর ‘মায়ের কান্না’ নামক সংগঠনের সদস্যরা একটি স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে তিনি তাদের কথা না শুনে বরং তাদের এড়িয়ে যান।

বিবৃতিদাতা ৩৪ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন- সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আবদুল বায়েস, অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সহিদ আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, অধ্যাপক ড. এ এ মামুন। সিনিয়র সাংবাদিক ও সম্পাদকদের মধ্যে রয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন, সাইফুল আলম, আবুল কালাম আজাদ, এনামুল হক চৌধুরী, অজয় দাশগুপ্ত, শ্যামল দত্ত, ওমর ফারুক, সোহেল হায়দার চৌধুরী। এ ছাড়া রয়েছেন- নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, দেশবরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক ড. রফিকুন নবী রনবী, অধ্যাপক ড. হাশেম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, গোলাম কুদ্দুস, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিনাবিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের কান্নার স্মারকলিপিটি গ্রহণ করলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতেন। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (কোয়াব) সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস একটি রাজনৈতিক পক্ষের স্বার্থ-সিদ্ধি করছেন বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আচরণ কেবল রাজনৈতিকভাবে ঔদ্ধত্যপূর্ণই নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি চরম অবজ্ঞার প্রকাশ।

সর্বশেষ খবর