ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য প্রত্যেক তলায় আবাসিক শিক্ষক আছেন। সপ্তাহে ন্যূনতম দুই দিন ফ্লোরে গিয়ে প্রতিটি রুম পরিদর্শন করার (ফ্লোর ভিজিট) কথা তাদের। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ছেলেদের কোনো হলে আবাসিক শিক্ষকরা ফ্লোর ভিজিটে যান না। এমনকি তাদের চেনেনও না হলের শিক্ষার্থীরা। তবে আবাসিক শিক্ষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, হলগুলোতে ফ্লোর ভিজিটের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। একদিকে নির্ধারিত কক্ষগুলোর বৈধ শিক্ষার্থী না পাওয়া, অন্যদিকে ফ্লোর ভিজিটে গিয়ে ছাত্রদের দ্বারা অসম্মানিত হওয়ার ভয়ে ফ্লোর ভিজিটে যান না তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের ১৩টি ও মেয়েদের পাঁচটি হলের প্রত্যেক ফ্লোরে এক থেকে তিনজন করে আবাসিক শিক্ষক থাকেন। মেয়েদের হলে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ শোনা যায় না। তবে ছেলেদের হলে আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফ্লোর ভিজিট না করার অভিযোগ ছাত্রদের। মাস্টারদা সূর্য সেন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে ওঠার পর একবার একজন শিক্ষক রুম পরিদর্শনে করতে এসেছিলেন। সেটাও কভিডের পরের ঘটনা। আমার ফ্লোরের আবাসিক শিক্ষক কে তা জানি না।’ নিজের ফ্লোরের আবাসিক শিক্ষককে না চেনার কথা বলেছেন কবি জসীমউদ্দীন ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে মাসে একবার করে ভিজিটের কথা বলেছেন এ এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থী। আর কোনো অনুষ্ঠান বা উপলক্ষ থাকলেই ফ্লোরে আসেন বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষকরা। ছেলেদের এ হলটিতে প্রশাসন এখনো আসন বণ্টন করতে পারেনি। এদিকে ফ্লোর ভিজিটে অনীহার বিষয়ে বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাসিক শিক্ষক হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া এক তরুণ শিক্ষক জানান, আমার ফ্লোরে বৈধ শিক্ষার্থীর চেয়ে অবৈধ শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এমনকি ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে, আমার চেয়েও সিনিয়র এমন শিক্ষার্থীরাও এখনো হলে থাকে। তাহলে আমি কাদের রুম পরিদর্শন করব? আরেক শিক্ষক বলেন, ফ্লোর ভিজিটে গেলে ছাত্ররা যেমন সম্মান করেন, কোনো কোনো শিক্ষার্থী খুব অসম্মানজনক আচরণ করে। প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। ফলে ফ্লোর ভিজিটে যাওয়ার আগ্রহ থাকে না। হলে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছায়া প্রশাসনের মতো কাজ করে। তাদের ছত্রছায়ায় অনেক অছাত্র হলে থাকে। একজন আবাসিক শিক্ষকের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। প্রশাসনিক আসন বণ্টন নিশ্চিত করা গেলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন আমার হলে নিয়মিত ফ্লোর ভিজিট করছেন আবাসিক শিক্ষকরা। অন্য হলগুলো সম্পর্কে জানি না। তিনি বলেন, ফ্লোর ভিজিটে গিয়ে শিক্ষকরা হেনস্তার শিকার হলে সেটা তো শিক্ষার্থীদের সমস্যা। তারা কেন একজন শিক্ষককে অসম্মান করবে! এ ক্ষেত্রে ওই আবাসিক শিক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষ বা আমাকেও জানাতে পারেন। তাহলে আমরা বিষয়টি আলোচনা করতে পারি।
শিরোনাম
- জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র্যালি
- আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মকাণ্ড অপরাধ বলে গণ্য হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
- একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি
- আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ
- সাংবাদিকদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মুন্সীগঞ্জে ফারুক ওয়াসিফ
- কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না : আইজিপি
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
- জনগণকে যারা বাদ দিয়েছে, তারাই আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন : খোকন
- রূপগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
- ৫০০ মিটার সেতুর অভাবে তিন জেলার মানুষের ভোগান্তি
- নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
- নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র্যালি
- হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
- নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা
- ৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
- স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
- বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
আবাসিক শিক্ষকরা ফ্লোর ভিজিটে যান না যে কারণে
নাসিমুল হুদা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর