ভারতের সঙ্গে ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, আমাদের দেশের ৫৪টি নদীর উৎস ভারতে। তারপরও আমরা কেন পানি পাই না? কেন তিস্তা সমস্যার সমাধান হয় না? কেন আমাদের পানির জন্য হাহাকার করতে হয়? এসব সমস্যার সমাধান কেন হয় না। ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া কোনো সম্পর্ক এগোতে পারে বলে আমরা দেখছি না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবি ও উভয় দেশের জনগণের ঐক্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগরতলা যেটা ঘটেছে এটা কোন কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে? একটা দেশে আরেকটা দেশের যে দূতাবাস থাকে সেটিকে রক্ষার ১০০ শতাংশ দায়িত্ব সরকারের। অনতিবিলম্বে আগরতলার ঘটনার অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা বন্ধ করতে হবে।
মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আপনি বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের জনগণ মমতার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাই। গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। সাম্প্রতিক দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক হামলার যে কোনো সম্ভাব্য ঘটনাকে প্রতিহত করতে হবে। বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার বলেন, ভারতের পত্রিকা এবং মিডিয়াগুলোতে ভুয়া, মিথ্যা এবং পরিকল্পিত তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করছে। এই কল্পিত কাহিনি টিকবে না।