জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউর সামনে দগ্ধ মাহতাবের মা নাসরিন আক্তার কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে ঘিরে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন স্বজনরা। পাশেই নীরবে চোখের পানি ফেলছিলেন মাহতাবের বাবা মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া।
মাইলস্টোন স্কুলের ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মো. মাহতাব হোসেন ভূইয়া (১৪)। ভয়াবহ বিমান ধসে মাহতাব দগ্ধ হয়ে এখন বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউর ১১ নম্বর শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছে। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছেলের ক্লাসের পাশেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এই খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্ত্রী দৌড়ে স্কুলে যায়, আমি তখন অফিসে। যাওয়ার পর প্রথমে ছেলেকে খুঁজে পায়নি। কিছুক্ষণ পর বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত ব্যক্তিরা যোগাযোগ করেন। মাহতাবের তখন পর্যন্ত জ্ঞান ছিল।
মাহতাবের বাবা আরও বলেন, ‘ছেলের এখন জ্ঞান আছে। আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। মাঝেমধ্যে চিকিৎসক অনুমতি দিলে গিয়ে দেখা করি। তখন ওর খুব ভালো লাগে। ছেলে আগে থেকেই জুস পছন্দ করে। এখানে ভর্তি হওয়ার পরও ঘনঘন জুস খেতে চাচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো অল্প করে জুস দিচ্ছি।’