জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান জামিন চেয়ে কাঁদলেন আদালতে। তাঁর প্যারালাইসিস মায়ের দেখার কেউ নেই বলে কান্না করেন। তবে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে ধৈর্যধারণের উপদেশ দেন।
গতকাল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুরে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মতিউর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান পৃথক দুই মামলায় জামিন চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। এ সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে মতিউর বলেন, ‘আমি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমি আপনাকে এ চিঠিটা দিলাম। আপনি দয়া করে আমার চিঠিটা পড়ে যে আদেশ দেবেন, আমি তা মাথায় পেতে নেব।’ তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই কারাগারে। আমার মা প্যারালাইজড। তাঁকে দেখার কেউ নেই।’ এ সময় তাঁর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে জামিন দিন। আমাকে জামিন দিলে আমার কাছে যে নথিপত্র আছে, আমি তা আদালতে উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব।’ পরে বিচারক বলেন, ‘আপনি দোষী বা নির্দোষ তা এখনই বলা যাবে না। মামলাটি এখন তদন্তাধীন। তাই আপনাকে আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে।’ পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।