গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার উপপরিদর্শক দুলাল চন্দ্র দাস। গতকাল জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল হাসান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৭ আগস্ট রাতে চান্দনা চৌরাস্তায় সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রবিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর তুহিনের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ফোনটি উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান (৩৪), মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপী (২৫), খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ময়লাপোতা এলাকার মো. হানিফের ছেলে মো. আল আমীন (২১), পাবনার ফরিদপুর থানার সোনাহারা এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন ওরফে সেলিম (২৮), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার অনন্তপুর এলাকার হানিফ ভূইয়ার ছেলে মো. শাহজালাল ওরফে জালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩), শেরপুরের নকলা উপজেলার চিতলিয়া এলাকার আবদুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির (২৭) এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আরমান (৩০)।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।