বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনায় যত দেরি হবে, দেশ তত বিপদগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, রাজপথের পর্ব শেষ হয়েছে। এখন জনগণের মালিকানা ফেরানোর সময়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দ্রুত নির্বাচন না হলে দেশে বিভক্তি ও গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কোনো কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে জনগণের অংশগ্রহণকে অপরিহার্য হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তার মতে, জনসমর্থন ছাড়া কোনো উদ্যোগ নিলে তা গণতন্ত্রকে ব্যাহত করবে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সফল হতে পারবে না। তাই, যার যে দাবি সেগুলো নির্বাচিত হয়ে পূরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিবন্ধীদের সক্ষমতা বাড়ানো ও ক্ষমতায়নে বিএনপি কাজ করবে জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অন্য নাগরিকদের মতো প্রতিবন্ধীদের জন্যও রাষ্ট্রের বিনিয়োগ করতে হবে। এ বিনিয়োগ হবে আর্থিক, নৈতিক ও মানবিক বিনিয়োগ। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করছে বিএনপি। দান-অনুদান নয়, নাগরিককে সক্ষম করাই লক্ষ্য। সেই সঙ্গে বিএনপি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি করে বলেও জানান দলটির সিনিয়র এই নেতা।
প্রসঙ্গত, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ আরও কয়েক দফা দাবিতে আগামী ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ।