নিয়মিত ফেশিয়াল ম্যাসাজে মুখের ফাইন লাইনস, রিঙ্কেলস, ডার্ক স্পট ও পিগমেন্টেশন কমায়। এ ছাড়া রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
ফেশিয়াল ম্যাসাজে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগায়। একই সঙ্গে লিম্ফ্যাটিক তরল ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে। ত্বকের নানা দূষণ দূর করতে এর ভূমিকা ব্যাপক। পেশি টোনড রাখে বয়স বাড়লে মুখের পেশির টানটান ভাব এমনিই কমে আসে। মুখের আকার শার্প দেখাতে মাসে অন্তত দুবার ফেস ম্যাসাজ করুন।প্রয়োজন ত্বকের মেরামত
ত্বকে নতুন কোষ তৈরি, টিস্যু মেরামত এবং ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন। আর এই কোলাজেন বৃদ্ধিতে ফেশিয়াল ম্যাসাজের ভূমিকা অনেক। নিয়মিত এই পরিচর্যায় ত্বকের যে কোনো ক্ষত নিরাময় হয়। বলিরেখা, অ্যাকনে ও পোরসের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী ফেশিয়াল ম্যাসাজ।
সাইনাসের সমস্যা রোধে
নাকের চারপাশের নির্দিষ্ট অংশ এবং প্রেশার পয়েন্টে ম্যাসাজে সাইনাস থেকে হওয়া মিউকাস বিল্ড-আপ কমে এবং আরামবোধ হয়। অল্পতেই তৎক্ষণাৎ ফল পাওয়া যায়।
ফেসিয়াল ম্যাসাজে এসেনশিয়াল অয়েল
ম্যাসাজের পাথেয় হিসেবে তেল ত্বকের জন্য ভালো। তেল ত্বকের দাগ দূর করে, বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, ত্বকের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে। এ ছাড়া ত্বকে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, তিসির তেল, ভিটামিন ডি ক্যাপসুল, তিলের তেল ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।
একটা বাটিতে এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল ও দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে আঙুলে লাগান। এবার আঙুলগুলোর সাহায্যে বিভিন্নভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন। মুখের ‘জ লাইন’ বের করতে, চিবুক ভি শেপে আনতে, ত্বকের চর্বি কমাতে, চোখের নিচের কালো দাগ, ফোলা ভাব দূর করতে বিভিন্ন ভঙ্গিতে, বিভিন্ন স্ট্রোকে ম্যাসাজ করতে হবে।
ছবির মতো দুই চোখের নিচে তেল লাগিয়ে টেনে নিন। ভ্রুর ওপরে তেল লাগিয়ে টেনে নিতে পারেন। তর্জনী আর বুড়ো আঙুল দিয়ে আলতোভাবে নাক চেপে ধরে টেনে টেনে ম্যাসাজ করলে নাকের গঠন সুন্দর হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ